আইসিটি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্ক :
আইকিউ টেস্টে সর্বোচ্চ স্কোরধারী (স্কোর ২১০) বিস্ময় বালক কিম উং ইয়ং জন্মগ্রহণ করে ১৯৬২ সালে। জাপানিজ, চাইনিজ, স্প্যানিশ, ভিয়েতনামিজ, তেলেগু, কোরিয়ান, জার্মান ও ইংরেজি ভাষায় পারদর্শী ইয়ং মাত্র পাঁচ বছর বয়সে সমাধান করে ফেলতে পারত কঠিন কঠিন সব ডিফারেন্সিয়াল এবং ইন্ট্রিগাল ক্যালকুলাস। তিন বছর বয়স থেকে ছয় বছর বয়স পর্যন্ত সে ছিল হানইয়াং ইউনিভার্সিটির পদার্থবিজ্ঞানের অতিথি ছাত্র। মাত্র সাত বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রের নাসা থেকে আমন্ত্রণ পায় ইয়ং। বয়স ১৫ হওয়ার আগেই কলোরাডো স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে সে পদার্থবিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করে। ১৯৭৪ সালে ইউনিভার্সিটিতে পড়াকালীন সময়ে ইয়ং নাসাতে তার গবেষণার কাজ শুরু করে এবং কোরিয়ায় ফেরত যাওয়ার আগ পর্যন্ত এ গবেষণা চালিয়ে যায়। ১৯৭৮ সালে কোরিয়ায় ফিরে সে পুরকৌশল নিয়ে পড়াশোনা করার মনস্থির করে এবং সে ক্ষেত্রেও ইয়ং ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করে।
২.
১৯৯০ সালে জন্মগ্রহণ করা গ্রেগরি স্মিথ মাত্র দুই বছর বয়সে পড়তে শুরু করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া শুরু করে ১০ বছর বয়সে। জ্ঞান আহরণের জন্য নয় বরং শিশুদের অধিকার আদায়ের মিশন নিয়ে পুরো পৃথিবী ভ্রমণ শুরু করে স্মিথ। শুধু তাই নয়, ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ অ্যাডভোকেটস নামে একটি সংস্থা গড়ে তুলেছে সে। সারাবিশ্বে শিশু-কিশোরদের মধ্যে শান্তির মূলনীতি ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে কাজ করে এ সংস্থাটি। বিল ক্লিনটন এবং মিখাইল গর্বাচেভের সঙ্গে দেখা করে স্মিথ এবং ইউএনের সামনে তার বক্তব্যও উপস্থাপন করে। বিভিন্ন মানবিক এবং শান্তির পক্ষে কাজ করার জন্য চার চারবার নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয় স্মিথ।
৩.
এক বিলিয়নেরও বেশি লোক বসবাসকারী ভারতের বিস্ময় বালক অর্কিত জাসওয়ালকে বলা হয় বিশ্বের সবচেয়ে স্মার্ট বালক। আইকিউ টেস্টে তার স্কোর ১৪৬। মাত্র ১০ মাস বয়সে হাঁটতে এবং কথা বলতে শেখা অর্কিত পড়তে এবং লিখতে শেখে দুই বছর বয়সে। ইংরেজিতে শেক্সপিয়ারের রচনাবলি পড়তে শুরু করে যখন তার বয়স পাঁচ। অর্কিত সর্বপ্রথম নজরে আসে ২০০০ সালে যখন মাত্র সাত বছর বয়সে সে ডাক্তারি বিদ্যা প্রয়োগ করে। আট বছর বয়সী এক স্থানীয় মেয়ের হাত পুড়ে গেলে তার দুটি আঙুল একটার সঙ্গে একটা লেগে বেঁকে যায়। চিকিৎসার খরচ বহনে অক্ষম মেয়েটির পরিবার অর্কিতের কাছে গেলে সে সফলভাবে মেয়েটির আঙুলগুলোকে আলাদা করতে সফল হয় এবং পরবর্তীতে মেয়েটি সেই হাত দিয়ে কাজ করতে সক্ষম হয়। ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী ছাত্র অর্কিত বর্তমানে বিজ্ঞান বিষয়ে পড়ছে চন্ডীগড় কলেজে। ১২ বছর বয়সী অর্কিত তার এই বিস্ময়কর প্রতিভাকে কেন্দ্রীভূত করেছে চিকিৎসাবিজ্ঞানে এবং বলা হচ্ছে ক্যান্সারের প্রতিষেধক আবিষ্কারের খুব সনি্নকটে সে।
৪.
২০০২ সালের ৬ অক্টোবর মালোডাভায় জন্মগ্রহণকারী ক্লিওপেট্রা মালডোভিয়ান-রোমানিয়ান গায়ক পাভেল স্ট্রাটানের মেয়ে। গায়ক বাবার মেয়ে গান অনুরাগী হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে মাত্র তিন বছর বয়সে কোনো জনপ্রিয় অ্যালবামের গায়িকা হওয়াটাই বিস্ময়কর। শুধু তাই নয়, বিশাল অডিয়েন্সের সামনে টানা দুই ঘণ্টা সরাসরি গান গেয়ে সবচেয়ে ছোট শিল্পী হিসেবে রেকর্ডও গড়েছে সে। বিশ্বের সবচেয়ে দামি এই শিশুশিল্পী তার প্রতিটা গানের জন্য পায় এক হাজার ইউরো। সবচেয়ে কম বয়সী শিশুশিল্পী হিসেবে এম টিভি অ্যাওয়ার্ড জেতার রেকর্ডটিও তার।
৫.
২০০৭ সালের ১৫ জুলাই মাত্র ১৪ বছর ১১ মাস ২০ দিন বয়সে ফেবিয়ানো কারুয়ানা দাবায় গ্র্যান্ডমাস্টার হয়ে জিতে নেয় বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী গ্র্যান্ডমাস্টারের খেতাবটি। ১৯৯২ সালের ৩০ জুলাই মিয়ামিতে জন্মগ্রহণ করে ফেবিয়ানো। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে স্কুল দাবা প্রতিযোগিতায় তার প্রতিভা প্রকাশ পায়। ১২ বছর বয়স পর্যন্ত ফেবিয়ানো যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যরাতরেই খেলত। মাঝে-মধ্যে ইউরোপ কিংবা দক্ষিণ আমেরিকা যেত প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে। ১৪ বছর বয়সে গ্র্যান্ডমাস্টার কেতাব পাওয়ার মাধ্যমে বিশ্বের দাবাড়ূদের মধ্যে অষ্টম এবং জুনিয়র দাবাড়ূদের মধ্যে প্রথম স্থানটি তার
অধিকারে চলে আসে। বর্তমানে সুইজারল্যান্ডে বসবাসকারী ফেবিয়ানো ইতালির পক্ষ হয়ে দাবা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
৬.
নিক্কা কালাসনিকোভা নামের একজন রাশিয়ান আলোকচিত্রী মেলবোর্নের ব্রুনসউইক স্ট্রিট গ্যালারির পরিচালক মার্ক জেমেইসনকে একজন চিত্রশিল্পীর কিছু ছবি দেখান। এলিটা আন্দ্রে নামের সেই চিত্রশিল্পীর আঁকা অ্যাবস্ট্রাক্ট ছবিগুলো পছন্দ হয় জেমেইসনের। তিনি ছবিগুলো নিয়ে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করেন। তবে আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, এ প্রদর্শনীর সব রকম প্রচার সম্পন্ন করার পর জেমেইসন জানতে পারেন এলিটা আন্দ্রে নামের এই শিল্পী নিক্কা কালাসনিকোভা এবং মাইকেল আন্দ্রে শিল্পী দম্পতির সন্তান। শুধু তাই নয়, এলিটার বয়স মাত্র ২২ মাস। সত্যটা জেনে কিছুটা বিব্রত হন জেমেইসন; কিন্তু প্রদর্শনী চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অটল থাকেন। অন্য বাচ্চাদের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্নরকম অঙ্কনশৈলীর কারণে এ ক্ষুদে শিল্পীর ছবি প্রদর্শিত হয় বিশ্বের বিখ্যাত আর্ট গ্যালারিতে।
No comments:
Post a Comment