আইসিটি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্ক :
বর্তমানকালে পদার্থবিদ্যার সবচেয়ে বড় তাত্তি্বক বলা হয় অধ্যাপক স্টিফেন হকিংকে। বিশ্বখ্যাত এই বিজ্ঞানী সম্পর্কে যারা অবগত তারা প্রত্যেকে জানে, বর্তমানে তিনি মোটর নিউরন সম্পর্কিত দুরারোগ্য রোগে ভুগছেন এবং সম্পূর্ণরূপে পক্ষাঘাতগ্রস্ত। শব্দ উৎপাদনকারী বিশেষ যন্ত্রের (স্পিচ জেনারেটিং ডিভাইস) মাধ্যমে তিনি অনেক কষ্টে মনের ভাব প্রকাশ করছেন। কিন্তু যা তিনি ভাবেন এর কতটাই বা এখন প্রকাশ করতে পারছেন? তাই ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত এই বিজ্ঞানীর কালজয়ী ভাবনাগুলোকে আরো বেশি করে প্রকাশে সহায়তার জন্য হকিংয়ের মস্তিষ্কের বুদ্ধিতরঙ্গগুলোকে শব্দে রূপান্তরের পরিকল্পনা করছেন আমেরিকার এক বিজ্ঞানী। এ জন্য হকিংয়ের মস্তিষ্কের গঠনের ওপর নিজের বিস্তারিত গবেষণা-তথ্য সম্প্রতি জনসমক্ষে উপস্থাপন করেছেন অধ্যাপক ফিলিপ লো নামের ওই বিজ্ঞানী। তাঁর দাবি, আবিষ্কৃত কাঠামোটি খ্যাতনামা এই বিজ্ঞানীকে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে আরো সাহায্য করবে।
লো আশা প্রকাশ করেন, তাঁর আবিষ্কৃত পদ্ধতির মাধ্যমে অধ্যাপক হকিং মস্তিষ্ক দিয়ে লিখতেও পারবেন, আর এই যন্ত্রটি হতে পারে বর্তমানে তিনি যে কথা বলার যন্ত্রটি ব্যবহার করছেন সেটির কার্যকরী বিকল্প। বর্তমানে তিনি যে স্পিচ জেনারেটিং ডিভাইসটি ব্যবহার করছেন, সেটি হকিংয়ের গালের পেশির নড়াচড়া অনুসরণ করে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে শব্দ উৎপাদন করে থাকে।
লো জানিয়েছেন, তাঁর আবিষ্কৃত যন্ত্রটি হকিংয়ের মোটর নিউরনের লক্ষণ দেখা দেওয়ার ঝুঁকি এড়াতেও সাহায্য করবে। প্রখ্যাত কম্পিউটার সফটওয়্যার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ইন্টেল এই বিকল্প যন্ত্রটি নির্মাণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
১৯৬৩ সাল থেকেই মোটর নিউরনজনিত দুরারোগ্য রোগে ভুগছেন অধ্যাপক হকিং। তখন থেকেই এই রোগের চিকিৎসা চলছে তাঁর। ১৯৮০ সালের দিকে তাঁর অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয় এবং তিনি তাঁর হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলটি সামান্য নড়াচড়া করতে পারেন। এটুকু শক্তিতেই কম্পিউটার মাউসের সাহায্যে কার্সারটি নাড়িয়ে কিছু শব্দ লিখতে পারতেন তিনি। পরে তাঁর শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটে। সে সময় তাঁর জন্য একটি বিশেষ যন্ত্র আবিষ্কার করা হয়। এই যন্ত্র একটি বিশেষ সংবেদনশীল বর্ণালির (ইনফ্রারেড সেন্সর) সাহায্যে তাঁর ডান গালের নড়াচড়া শনাক্ত করে এবং আলোর সাহায্যে আয়নায় এই পরিবর্তন বিবর্ধিত হয়ে কম্পিউটারের সফটওয়্যারের সাহায্যে শব্দে পরিবর্তিত হয়। তবে ভয়ের বিষয়টা হচ্ছে, রোগের কারণে প্রতিনিয়ত শারীরিকভাবে নড়াচড়ার ক্ষমতা হারাচ্ছেন স্টিফেন হকিং। এতে শরীরের সাহায্যে মনোভাব প্রকাশের ক্ষমতাই শুধু হারিয়ে ফেলছেন না তিনি, তাঁর মস্তিষ্কও ক্রমে আবদ্ধ হয়ে পড়ছে।
২০১১ সালে অধ্যাপক লো-কে আইব্রেইন ডিভাইসের সাহায্যে তাঁর মস্তিষ্ক স্ক্যান করার অনুমতি দেন হকিং। সিলিকন ভ্যালির সহায়তায় নিউরোভিজিল স্টার্ট আপের ওই স্ক্যানিং মেশিনের রিপোর্ট নিয়ে এক বছর ধরে গবেষণা চালান অধ্যাপক লো। কিছুদিন আগে হকিংয়ের জন্মশহর কেমব্রিজে গবেষণালব্ধ তথ্যগুলো নিয়ে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন তিনি। অধ্যাপক হকিংয়ের পক্ষে সেই সভায় উপস্থিত থাকা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তবে তাঁর মুখপাত্র জানিয়েছেন, সবার সঙ্গে আরো ভালোভাবে যোগাযোগ করতে সাহায্য করতে পারে এমন যেকোনো উদ্ভাবনী যন্ত্র নিয়ে গবেষণার পক্ষে স্টিফেন হকিং। সূত্র : বিবিসি অনলাইন।
লো আশা প্রকাশ করেন, তাঁর আবিষ্কৃত পদ্ধতির মাধ্যমে অধ্যাপক হকিং মস্তিষ্ক দিয়ে লিখতেও পারবেন, আর এই যন্ত্রটি হতে পারে বর্তমানে তিনি যে কথা বলার যন্ত্রটি ব্যবহার করছেন সেটির কার্যকরী বিকল্প। বর্তমানে তিনি যে স্পিচ জেনারেটিং ডিভাইসটি ব্যবহার করছেন, সেটি হকিংয়ের গালের পেশির নড়াচড়া অনুসরণ করে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে শব্দ উৎপাদন করে থাকে।
লো জানিয়েছেন, তাঁর আবিষ্কৃত যন্ত্রটি হকিংয়ের মোটর নিউরনের লক্ষণ দেখা দেওয়ার ঝুঁকি এড়াতেও সাহায্য করবে। প্রখ্যাত কম্পিউটার সফটওয়্যার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ইন্টেল এই বিকল্প যন্ত্রটি নির্মাণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
১৯৬৩ সাল থেকেই মোটর নিউরনজনিত দুরারোগ্য রোগে ভুগছেন অধ্যাপক হকিং। তখন থেকেই এই রোগের চিকিৎসা চলছে তাঁর। ১৯৮০ সালের দিকে তাঁর অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয় এবং তিনি তাঁর হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলটি সামান্য নড়াচড়া করতে পারেন। এটুকু শক্তিতেই কম্পিউটার মাউসের সাহায্যে কার্সারটি নাড়িয়ে কিছু শব্দ লিখতে পারতেন তিনি। পরে তাঁর শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটে। সে সময় তাঁর জন্য একটি বিশেষ যন্ত্র আবিষ্কার করা হয়। এই যন্ত্র একটি বিশেষ সংবেদনশীল বর্ণালির (ইনফ্রারেড সেন্সর) সাহায্যে তাঁর ডান গালের নড়াচড়া শনাক্ত করে এবং আলোর সাহায্যে আয়নায় এই পরিবর্তন বিবর্ধিত হয়ে কম্পিউটারের সফটওয়্যারের সাহায্যে শব্দে পরিবর্তিত হয়। তবে ভয়ের বিষয়টা হচ্ছে, রোগের কারণে প্রতিনিয়ত শারীরিকভাবে নড়াচড়ার ক্ষমতা হারাচ্ছেন স্টিফেন হকিং। এতে শরীরের সাহায্যে মনোভাব প্রকাশের ক্ষমতাই শুধু হারিয়ে ফেলছেন না তিনি, তাঁর মস্তিষ্কও ক্রমে আবদ্ধ হয়ে পড়ছে।
২০১১ সালে অধ্যাপক লো-কে আইব্রেইন ডিভাইসের সাহায্যে তাঁর মস্তিষ্ক স্ক্যান করার অনুমতি দেন হকিং। সিলিকন ভ্যালির সহায়তায় নিউরোভিজিল স্টার্ট আপের ওই স্ক্যানিং মেশিনের রিপোর্ট নিয়ে এক বছর ধরে গবেষণা চালান অধ্যাপক লো। কিছুদিন আগে হকিংয়ের জন্মশহর কেমব্রিজে গবেষণালব্ধ তথ্যগুলো নিয়ে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন তিনি। অধ্যাপক হকিংয়ের পক্ষে সেই সভায় উপস্থিত থাকা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তবে তাঁর মুখপাত্র জানিয়েছেন, সবার সঙ্গে আরো ভালোভাবে যোগাযোগ করতে সাহায্য করতে পারে এমন যেকোনো উদ্ভাবনী যন্ত্র নিয়ে গবেষণার পক্ষে স্টিফেন হকিং। সূত্র : বিবিসি অনলাইন।
No comments:
Post a Comment