Monday, July 30, 2012

আরব বিজ্ঞানীদের ক্যান্সারের ওষুধ আবিস্কারের দাবি

আইসিটি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্ক :
উটের দুধ ও মূত্র থেকে আরবের একদল বিজ্ঞানী ক্যান্সারের ওষুধ আবিষ্কার করেছেন বলে দাবি করছেন।
আরব বায়োটেকনোলজি কোম্পানির (এবিসি) গবেষকরা জানান, তারা এ ওষুধটি ইঁদুরের শরীরে প্রয়োগ করেছেন। তারা শতভাগ সফল হয়েছেন বলেও দাবি করেন। খবর পিটিআইর।
তারা বলেন, উটের দুধ ও মূত্রে এক ধরনের বিশেষ উপাদান আছে যা প্রতি মুহূর্তে নবযৌবন লাভ করে। এটাকে তারা ওষুধের স্যাম্পল হিসেবে নেন।
দীর্ঘদিন গবেষণা করে ক্যান্সারের প্রতিষেধক আবিষ্কার করেন।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, গবেষণাগারে তারা ইঁদুরের শরীরে ছয় মাস ধরে এ ওষুধ প্রয়োগ করে আসছেন। এগুলো এখনো বেশ সুস্থ সবল আছে। এগুলোর আচরণও স্বাভাবিক। এ ওষুধে বিশেষ ধরনের কোষ আছে। এ কোষ ক্যান্সার আক্রান্ত কোষের বিষাক্ত অংশ ধ্বংস করে ফেলে। তবে এতে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই বলে তারা দাবি করেন।
আরব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট আবদাল্লা আলনজর বলেন, তারা অচিরেই এ ওষুধ মানুষের শরীরে প্রয়োগ করবেন। তিনি বলেন, সারজাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে এ পরীক্ষা শুরু হয় এবং শেষ হয় বাগদাদের ক্যান্সার ইনস্টিটিউটে।
এ ওষুধ প্রধানত ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হবে। এ ছাড়া ফুসফুস, লিভার ও স্তন ক্যান্সারের প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহারের জন্য এটি উন্নত করা হচ্ছে।
আরব ক্যান্সার কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশনের মতে, ক্যান্সারে বছরে ৬০ লাখ মানুষ মারা যায়। আরব বিশ্বে হার্টঅ্যাটাক ও কম্যুনাল রোগের পরে মানুষের মৃত্যুর দ্বিতীয় কারণ এটি।

ধূমপানের ৩০ মিনিটের মধ্যে ক্যান্সার সৃষ্টির প্রক্রিয়া শুরু হয়

আইসিটি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্ক :
ধূমপান করলে শরীরের ফুসফুসে ক্যান্সারের কোষ সৃষ্টি হয়-এ কথা সবারই কমবেশি জানা। তা জেনেও ধূমপায়ীরা সিগারেটের মোহ ত্যাগ করতে পারেন না। তাঁদের কাছে একটা সান্ত্বনা হয়ত ছিল-ধূমপানের বিষ তিল তিল করে জমে ক্যান্সারের সূত্রপাত ঘটাতে অনেক বছর লেগে যাবে। অন্যদিকে যাঁরা সবে সিগারেট ধরেছেন, তাঁদের মনে হতে পারে-মাত্রই তো শুরু, এখনই এতো সাবধান হওয়ার কী আছে? তাঁদের সবার জন্য এবার যুক্তরাষ্ট্রের একদল গবেষক শুনিয়েছেন হিমশীতল সতর্কবার্তা। ধূমপানের মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই সিগারেট থেকে নির্গত রাসায়নিক বিষ আপনার শরীরের জেনেটিক ক্ষতিসাধন করে ফেলে।
গবেষকরা ১২ জন স্বেচ্ছাসেবী ধূমপায়ীর ওপর পরীক্ষা করে দেখেছেন, ‘পলিসাইক্লিক অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বনস’ (পিএএইচ) নামের ক্যান্সার সৃষ্টির রাসায়নিক যৌগ ধূমপানের পর কী মাত্রায় মানবশরীরের ডিএনএর (ডিঅঙ্রিাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড) ক্ষতিসাধন করে। তাঁরা দেখতে পেয়েছেন, সিগারেটসংশ্লিষ্ট পিএএইচ রাসায়নিকটি ধূমপানের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করলে মাত্র ১৫ থেকে ৩০ মিনিটের ভেতরে এমন আরেকটি রাসায়নিক যৌগে পরিবর্তিত হয় যা ডিএনএর এমন ক্ষতি করে। আর ক্যান্সারের শুরুটা ঘটে এভাবেই।
‘অ্যাকশন অন স্মোকিং অ্যান্ড হেলথ’ বা অ্যাশের পলিসি পরিচালক মার্টিন ডকরিল বলেন, ‘এ গবেষণার ফলাফল আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে-ধূমপানের পর কত দ্রুত ক্যান্সার সৃষ্টির প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। ৩০ বছর নয়, মাত্র ৩০ মিনিটেই এটি আমাদের জেনেটিক জগতে আঘাত হানে।’
সূত্র : এএফপি, বিবিসি।

নিজস্ব স্মার্টফোন বাজারে আনবে ফেসবুক

আইসিটি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্ক :
সেলফোনভিত্তিক বিজ্ঞাপনসেবা থেকে রাজস্ব বাড়ানো ও ব্যবহারকারীকে আরো বেশি সুবিধা দিতে ২০১৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে নিজস্ব স্মার্টফোন বাজারে আনবে শীর্ষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক। এ জন্য জোটবদ্ধ হয়েছে তাইওয়ানের স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এইচটিসির সঙ্গে।
গূত্রমতে, এ বছরই ফেসবুক ফোন বাজারে আনার সময় নির্ধারণ করেছিল ফেসবুক। এইচটিসিকে অন্যান্য পণ্য নিয়ে কাজ করার সুবিধা দিতে ফেসবুক ফোনের বাজারজাত করার সময় আগামী বছরের মাঝামাঝি পর্যন্ত পিছিয়েছে। অবশ্য ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি।

স্মার্টফোনের অপারেটিং সিস্টেমটি ফেসবুক নিজেদের সুবিধামতো সাজিয়ে নেবে বলে জানা গেছে। আইফোনের অ্যাপ্লিকেশনগুলো আরও উন্নত করার জন্য অ্যাপলের কিছু প্রোগ্রামারকে ফেসবুকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
ফেসবুকের বর্তমান ব্যবহারকারী ৯০ কোটি। এদের প্রায় অর্ধেকই সেলফোন ইন্টারনেটের মাধ্যমে ফেসবুক ব্যবহার করেন। গত বছর ফেসবুক বিজ্ঞাপন থেকে রাজস্ব লাভ করে ৩১৫ কোটি ডলার। তবে এর কানাকড়িও সেলফোন বিজ্ঞাপন থেকে আসেনি। বিশ্লেষকদের মতে, সেলফোন বিজ্ঞাপন থেকে প্রচুর রাজস্ব লাভের সুযোগ রয়েছে। বিষয়টি বিবেচনা করে ফেসবুক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ ফেসবুক ফোন আনার জন্য আরও আগেই কাজ শুরু করেন। এ ফোনে সামাজিক যোগাযোগ সাইটটি ব্যবহারে বিশেষায়িত সেবা থাকবে।

চলতি বছরের মার্চ থেকে সেলফোনে বিজ্ঞাপন প্রচারের সুবিধা চালু করেছে ফেসবুক। তবে এখন পর্যন্ত এ খাত থেকে আয়ের খতিয়ান প্রকাশ করেনি। সাইটটির মতে, ব্যবহারকারীসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিজ্ঞাপন প্রবৃদ্ধি বাড়ার আশা করা যায় না।

টপেকা ক্যাপিটাল মার্কেটের বিশ্লেষক ভিক্টর অ্যান্থনি বলেন, দিন দিন সেলফোন থেকে ফেসবুক ব্যবহার বাড়ছে। তবে এ প্লাটফর্ম থেকে আয় করতে পারছে না ফেসবুক । বিশেষায়িত ফোন বাজারে এলে ফেসবুকের জন্য বিজ্ঞাপন প্রচার করা সহজ হবে। কারণ ব্যবহারকারী এর মাধ্যমে সব সময়ই ফেসবুকে যুক্ত থাকবেন।

এইচটিসির সঙ্গে চুক্তির ব্যাপারে তাইওয়ানভিত্তিক এইচটিসির মুখপাত্র স্যালি জুলিয়েন মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
১৮ মে বাজারে আসে ফেসবুকের হাজার কোটি ডলারে আইপিও। এ পর্যন্ত শেয়ারদর ২৩ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। সেলফোন বিজ্ঞাপন থেকে আয় করতে পারছে না বলে প্রতিষ্ঠানটির রাজস্ব লাভ আশানুরূপ হচ্ছে না বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

বুধাবার ফেসবুকের শেয়ারের দাম ৩ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে ২৯ ডলার ৩৪ সেন্টে দাঁড়িয়েছে। এক বিবৃতিতে ফেসবুকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সেলফোন নিয়ে আমাদের কৌশল খুবই সহজ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রবেশের সুবিধা থাকলে সেলফোনগুলো আরও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। সেলফোন খাত-সম্পর্কিত অপারেটর, হার্ডওয়্যার উন্নয়নকারী প্রতিষ্ঠান, অপারেটিং সিস্টেম সরবরাহকারী ও অ্যাপ্লিকেশন উন্নয়কারী সবার সঙ্গেই কাজ করছে ফেসবুক।

অ্যাপলের সাবেক প্রকৌশলী গ্রেগ নভিককে নিয়োগ দিয়েছে ফেসবুক। তিনি টাচস্ক্রিনের কার্যকারিতা নিয়ে কাজ করেন। এ ছাড়া রয়েছেন টিম ওমারনিক ও ক্রিস ট্রেমব্লে। তারা সফটওয়্যার প্রকৌশলী। আরো আছেন স্কট গুডসন। তিনি শেয়ারবাজার-সম্পর্কিত অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে কাজ করেন।

তালিকায় রয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন প্রকৌশলী। অ্যাপল থেকে আসা প্রকৌশলীরা ফেসবুকের আইফোন অ্যাপ্লিকেশন উন্নয়নের জন্য কাজ করছেন।

সমালোচকদের মতে, বর্তমান অ্যাপ্লিকেশনটি ধীরগতির। আশা করা হচ্ছে, কয়েক মাসের মধ্যেই নতুন অ্যাপ্লিকেশন বাজারে আনবে ফেসবুক। অ্যাপল ছাড়াও অন্য মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম পামের বেশ কয়েকজন প্রকৌশলীকে নিয়োগ দিয়েছে ফেসবুক।

এ মাসের শুরুতে আইডাহোয় অ্যালেন অ্যান্ড কো মিডিয়া সম্মেলনে জাকারবার্গ জানান, ডেস্কটপের ফেসবুক ব্যবহার ও সেলফোনে ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আলাদা। সেলফোনে এর ব্যবহারে মানিয়ে নেয়া চ্যালেঞ্জের বলে মনে করেন তিনি।
ফেসবুক ফোনের ব্যাপারে প্রযুক্তিবিষয়ক খবরের সাইট অলথিংস ডিজিটালের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০১২ সালের শেষ দিকে কিংবা ২০১৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে বাজারে আসবে ফেসবুক ফোন।

বর্তমানে অ্যাপলের আইফোনে ও অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে ফেসবুক ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে। সাইটটির সঙ্গে স্মার্টফোনগুলোর সম্পর্ক আরও গভীর করতে চায় ফেসবুক। আর নিজস্ব সেলফোন আনার মাধ্যমে বিষয়টির ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ আরো
পাকাপোক্ত হবে।

বাজারে আসছে আইফোন-৫

আইসিটি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্ক :
এবার সত্যিই বাজারে আসছে আইফোন-৫। অ্যাপলভিত্তিক ব্লগ সাইট আইমোরে এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এদিকে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর একটি অনুষ্ঠানের জন্য আমন্ত্রণপত্র তৈরি করেছে অ্যাপল। সব মিলিয়ে এবারের সমীকরণটা বিফলে যাবে না। এমনটাই বলছেন প্রযুক্তি বাজার পর্যবেক্ষকেরাও।
শুধু আইফোন-৫ নয়। সঙ্গে জুটি হয়ে আসছে আইপ্যাড মিনির নব সংস্করণ। অতীতে অ্যাপল নিয়ে সব সত্য তথ্য দিয়েছে এমন সংবাদমাধ্যমও এ দিনক্ষণ নিয়ে কোনো প্রশ্ন তুলছে না। বরং একে নির্ভরযোগ্য বলেই অবস্থান নিয়েছে।
আগামী ১২ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলেও বিশ্ব বাজারে এ পণ্য দুটি বাণিজ্যিক বিপণন শুরু হবে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে।
অর্থাৎ উন্মোচনের ৯ দিন পর ভোক্তাদের হাতে এ দুটি পণ্য পৌঁছতে শুরু করবে। একই দিনে নতুন আইফোন আর আইপ্যাড বাজারে আনাকে বিপণন কৌশলে নতুন সংযোজন বলে বিশ্লেষকেরা বলছেন।
গুগল নেক্সাস-৭ মডেলকে চ্যালেঞ্জ করতেই নতুন আইপ্যাড নিয়ে আসা হচ্ছে। আর এ প্রতিযোগিতা অ্যাপল আবারও এগিয়ে যাবে বলেই সংশ্লিষ্টরা অভিমত দিয়েছেন। এরই মধ্যে জাপানভিত্তিক ব্লগমাধ্যমে নতুন আইফোনের একটি ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে অ্যাপল ভক্তরা এখন সেপ্টেম্বরেই দিকে তাকিয়ে আছেন। অপেক্ষার পালা বুঝি এবার ফুরাবে।

অন্ধ হয়ে যেতে পারেন উজ্জল স্ক্রিনের সামনে লম্বা সময় কাটানো ব্যক্তিরা

আইসিটি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্ক :
কম্পিউটার মনিটর বা টেলিভিশনের স্ক্রিনের সামনে লম্বা সময় কাটানো চোখের জন্য যে ক্ষতিকর, তা নতুন কোনো খবর না হলেও এর ভয়াবহতা এতোদিন অজানাই ছিলো। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জার্নাল অফ পিডিয়াট্রিকসের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী অন্ধত্বের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে ব্যবহারকারীদের স্ক্রিন আসক্তি। খবর ইয়াহু নিউজ-এর।
জার্নাল অফ পিডিয়াট্রিকসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিশুরা কম্পিউটার মনিটর এবং টেলিভিশনের সামনে প্রতিদিন নির্দিষ্ট মাত্রার চেয়ে শতকরা ৬৬ ভাগ সময় বেশি কাটায়। বিশ্বব্যাপী আরো কয়েক কোটি মানুষকে কাজের খাতিরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় কম্পিউটার মনিটরের সামনে। কম্পিউটার মনিটর বা টিভি স্ক্রিনের সামনে এভাবে লম্বা সময় কাটালে তা ধীরে ধীরে চোখের এতোই ক্ষতি করে যে, অন্ধ হয়ে যেতে পারেন উজ্জল স্ক্রিনের সামনে লম্বা সময় কাটানো ব্যক্তিরা।
দীর্ঘ সময় স্ক্রিনের সামনে কাটালে ক্লান্ত হয়ে পড়ে চোখের ছোট ছোট মাংশপেশীগুলো। আর প্রতি মিনিটে সাধারণ একজন মানুষের চোখের পাতা পড়ে প্রতি মিনিটে ১২ থেকে ১৫ বার। কিন্তু ইলেকট্রনিক স্ক্রিনের সামনে থাকলে তা কমে ৪ থেকে ৫ বারে দাঁড়ায়। স্ক্রিনের দিকে বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকলে ‘কম্পিউটার ভিশন সিনড্রোম’ বা সিভিএসে আক্রান্ত হতে পারে ব্যবহারকারীরা। এতে ঘোলা দৃষ্ঠি, মাথাব্যাথা এবং আলোর প্রতি মারাত্মক সংবেদনশীলতার শিকার হন ব্যবহারকারীরা।
চোখের এমন ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে কিছুক্ষণ পর পর স্ক্রিনের সামনে থেকে উঠে যতোটা সম্ভব দূরে বসে সময় কাটানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এ ছাড়াও স্ক্রিনের উজ্জল আলো থেকে চোখ রক্ষা করতে গ্লেয়ার প্রোটেক্টর ব্যবহারের পরামর্শও দিয়েছেন তারা।

স্মার্ট ফোনে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ

আইসিটি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্ক :
 স্মার্ট ফোনের সাহায্যে সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান জেনারেল মোটরস (জিএম)। সে লক্ষেই সম্প্রতি পিয়ার-টু-পিয়ার ৮০২.১১ প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে জিএম তার নিরাপত্তা ব্যবস্থা তৈরির পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। ফলে রাস্তা পার হওয়ার সময় গাড়ির নিচে পড়ার হাত থেকে বাঁচতে স্মার্টফোনের সাহায্য নিতে পারবেন।
জেনারেল মোটরসের বক্তব্য অনুযায়ী ওয়াই-ফাই প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে পুরো ব্যবস্থাটি দাঁড় করানো হয়েছে। ওয়াই-ফাই ডিরেক্ট একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং মান। এর উপস্থিতিতে ওয়াইফাই হটস্পট ছাড়াই স্মার্টফোনগুলো তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে।
ওয়াইফাই অ্যালায়েন্সের মতে, এ প্রযুক্তি সর্বোচ্চ ৬৫৬ ফিট বা দুইটি ফুটবল মাঠের সমান দূরে অবস্থিত দুটো ডিভাইসের মধ্যে সংযোগ ঘটাতে সক্ষম। এর মাধ্যমে ২০০ মিটার দূরে অবস্থিত কোনো বস্তুর অবস্থান সহজেই নির্ণয় করা সম্ভব হবে।
জিএমের গবেষকদের মতে, প্রযুক্তিটি অন্যান্য সেন্সরভিত্তিক বস্তু নির্ণয় করতে পারে। গাড়িগুলোর ভেতর আগে থেকেই ড্রাইভার অ্যালার্ট সিস্টেম রয়েছে। ফলে পথচারী বা সাইকেলচালকের সঙ্গে যদি ওয়াই-ফাই-সংবলিত স্মার্টফোন থাকে তাহলে সময়মতো গাড়িচালকরা সতর্ক হতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে প্রযুক্তির প্রথম আবিষ্কার হচ্ছে সাইড ভিউ মিরর। তবে এ ক্ষেত্রে বিখ্যাত মার্কিন গাড়ি নির্মাতা জিএম অন্যান্য গাড়ি এবং ইলেকট্রনিক্স নির্মাতাদের উদ্ভাবিত থ্রিজি, ক্যামেরা অথবা রাডার প্রযুক্তি ব্যবহার না করে, করেছে ওয়াইফাই ডাইরেক্ট প্রযুক্তি। সড়কগুলো আরও বেশি জনবহুল হয়ে ওঠায় এ প্রযুক্তির নিয়ে নিরলস গবেষণা করছেন বিজ্ঞানীরা।
সূত্র : অনলাইন

কম্পিউটার গেইমস শিশুদের ক্ষতির কারণ

আইসিটি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্ক :
 বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন বয়সী ব্যক্তির বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে কম্পিউটার গেইমস। বিশেষ করে শিশুরা গেইমসের বেশি ভক্ত। তবে সব গেইম যে শিশুদের সুষুম বিনোদন দেয় তা নয়। অনেক গেইম সহিংস ঘটনাকে প্রাধান্য দিয়ে তৈরি হওয়ায় তা শিশুদের মধ্যে হিংসাত্মক আচরণের জন্ম দেয়। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ডেইলি এক্সপ্রেস। প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে হিংসাত্মক আচরণের জন্য শিশুদের সাময়িক বরখাস্তের ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। অন্য শিক্ষার্থীর ওপর হামলা করায় গত দুই বছরে প্রায় এক লাখ ৬১ হাজার ৫৪০ জনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ গড়ে প্রতিদিন ৮৫০ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় যুক্তরাজ্যে।
সূত্র : ইন্টারনে

Wednesday, July 25, 2012

Ict World News 24. Com: গুগল ট্যাবলেটের বাজিমাত : নেক্সাস ৭-এর স্টক শেষ

Ict World News 24. Com: গুগল ট্যাবলেটের বাজিমাত : নেক্সাস ৭-এর স্টক শেষ: আইসিটি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্ক : গুগল ট্যাবলেট কম্পিউটার বাজারে এসেছে এক মাসও হয়নি। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ফুরিয়ে গেছে ট্...

গুগল ট্যাবলেটের বাজিমাত : নেক্সাস ৭-এর স্টক শেষ

আইসিটি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্ক :
গুগল ট্যাবলেট কম্পিউটার বাজারে এসেছে এক মাসও হয়নি। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ফুরিয়ে গেছে ট্যাবলেটটির একটি সংস্করণ। ইতোমধ্যেই বাজারে পরিচিত গুগলের অ্যাড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম। নেক্সাস ৭-এ ব্যবহৃত হয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ৪.১ জেলি বিন। এ ট্যাবলেটের ফিচারে রয়েছে ৭ ইঞ্চি টাচ স্ক্রিন, শক্তিশালী কোয়াড-কোর প্রসেসর, ক্যামেরা এবং নেয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি।
নেক্সাস ৭ জনপ্রিয়তা পাবে বলে আগেই ধারণা করা হয়েছিলো। এর সবচেয়ে বড় কারণ ছিলো, এটি বাজারে ছাড়া হয়েছিলো আইপ্যাডের অর্ধেক দামে। ৮ জিবি নেক্সাস ৭-এর দাম নির্ধারণ করা হয় ১৯৯ ডলার এবং ১৬ জিবি ২৪৯ ডলার। বাজারে আসার সঙ্গে সঙ্গেই ১৬ জিবি নেক্সাস তুমুল সাড়া ফেলে। তাই এখন গুগল স্টোরে ৮ জিবি নেক্সাস ৭ পাওয়া গেলেও ১৬ জিবির জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে আগ্রহীদের।

সমুদ্রের প্ল্যাংকটনের কার্বন শোষণ ক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব

আইসিটি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্ক :
পরিবেশকে কার্বন-মুক্ত করার একটি অভিনব উপায় নিয়ে গবেষণা করছে জার্মানির একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান।জার্মানির ব্রেমারহাভেনের অ্যালফ্রেড ভাগনার ইন্সটিটিউটের এই বিজ্ঞানী ভিক্টর স্মেটাচেক এই উপায় ব্যাখ্যা করে বলছেন সমুদ্রে লোহাযুক্ত সার ফেলে সমুদ্রের প্ল্যাংকটনের কার্বন শোষণ ক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব।সমুদ্রে তিমিসহ বড়ধরনের সামুদ্রিক মাছেদের যেসব খাদ্য থাকে যাদের প্ল্যাংকটন বলা হয়ে আয়রণ তাদের উদ্দীপ্ত করার ক্ষমতা রাখে ।বিজ্ঞানীরা দেখেছেন সাধারণ আয়রন সালফেট সার সমুদ্রের গভীরে নিয়ে ফেলতে পারলে ওই প্ল্যাংকটনগুলো উজ্জীবিত হয়ে ওঠে এবং বায়ুমন্ডল থেকে বেশিমাত্রায় কার্বন শোষণ করে ।অধ্যাপক স্মেটাচেক বলছেন এই পদ্ধতি ব্যবহার করে প্রতি বছরে সর্বোচ্চ এক গিগাটন পরিমাণ কার্বন ডাইঅক্সাইড বায়ুমন্ডল থেকে অপসারণ করা সম্ভব। অর্থাৎ বছরে এক বিলিয়ান টন কার্বন- যা রীতিমত উল্লেখযোগ্য একটা পরিমাণ

মধ্যরাতে বাড়ায় হতাশা টিভি,কম্পিউটার

আইসিটি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্ক :
বিনোদন ও তথ্যের প্রয়োজনে মধ্যরাতে টিভি বা কম্পিউটার স্ক্রিনে দীর্ঘসময় কাজ করলে আসক্তি বাড়ে। এটা আগেই প্রমাণ হয়। কিন্তু এবারের গবেষণায় উঠে এসেছে হতাশা এবং মেরুদন্ডের ব্যথার জন্য এ দুটি অভ্যাসই দায়ী।
রাতে ঘুমের সময় টিভি বা কম্পিউটার ব্যবহার হতাশা সৃষ্টি করে। গবেষণায় এমন তথ্যই বেরিয়ে এসেছে। আর নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রে ওহিও স্টেট ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টার সূত্র।
গত ৫০ বছরে বিশ্বজুড়ে মানুষের মধ্যে হতাশা বাড়ছে। আর তা ছড়িয়ে পড়ছে। ইলেকট্রনিক পণ্যের অতিরিক্ত ব্যবহার এবং দীর্ঘ সান্নিধ্যের কারণে শারীরিক নানা সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এর মধ্যে মেরুদন্ডে স্থায়ী ব্যথা এবং হতাশা অন্যতম হয়ে উঠেছে। গবেষকেরা এমনটাই বলছেন।
এ বিষয়ে গবেষক ট্রেসি বেডরোসিয়ান জানান, মানুষের মধ্যে দিন দিন হতাশা বাড়ছে। আর এ সংখ্যা মহিলাদের মধ্যেই সবচেয়ে বেশি। কর্মবিমুখ এবং নানামুখী চাপে মহিলার‍া হতাশায় ভুগছেন। এর জন্য মধ্যরাতের কম্পিউটার ব্যবহার এবং টিভি দেখাতেই অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

ড্রাগ রেসিসটেন্ট এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা আফ্রিকায় বেড়েই চলেছে

আইসিটি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্ক :
ওষুধ প্রতিরোধী বা ড্রাগ রেসিসটেন্ট এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা আফ্রিকায় বেড়েই চলেছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় গত এক দশকে সাব সাহারান আফ্রিকার বিভিন্ন প্রদেশের মানুষের শরীর অনেক বেশী ড্রাগ রেসিসটেন্ট হয়েছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। খবর বিবিসির।
মানুষের দেহের ভাইরাসকে ধ্বংস করার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করতে হয়। কিন্তু অ্যান্টিবায়োটিকের কোর্স সম্পন্ন না করা হলে এটি ভাইরাস ধ্বংস করতে তো পারেই না উল্টো ভাইরাসটি নিজেই অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। আর এ অবস্থাকেই বলা হয় ড্রাগ রেসিসটেন্স। ড্রাগ রেসিসটেন্ট শরীরে ভাইরাস আক্রমণও সহজ হয়।
প্রায় ২৬ হাজার মানুষকে পরীক্ষা করার পর উন্নয়নশীল দেশগুলোর মানুষের শরীর বেশি ড্রাগ রেসিসটেন্ট-এমন সিদ্ধান্তে এসেছে ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) এবং ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন (ইউসিএল)।
গবেষকরা বলেছেন, ড্রাগ রেসিসটেন্সের মাত্রা সবচেয়ে বেশি পূর্ব আফ্রিকায়। পশ্চিম আফ্রিকায় এর পরিমাণ শতকরা ১৪ ভাগ এবং পূর্ব আফ্রিকায় ২৯ ভাগ। আর তাই, এ অঞ্চলে এইচআইভি আক্রান্তের হারও বেশি।
ইউসিএল-এর গবেষক ড. রবীন্দ্র গুপ্ত বলেছেন, ‘ড্রাগ রেসিসটেন্সের মূল কারণ, সঠিকভাবে ওষুধ সেবন না করা। আমাদের গবেষণা অনুযায়ী, আমেরিকা এবং লন্ডনে ড্রাগ রেসিসটেন্সের পরিমাণ ১০ ভাগ। কিন্তু প্রতিনিয়ত ওষুধ পরিবর্তন এবং অনিয়মিত ওষুধ সেবনের কারণে এর পরিমাণ বেড়েই চলেছে।’
তবে ড. গুপ্ত জানান, ড্রাগ রেসিসটেন্স তেমন বড় সমস্যা নয়। কারো শরীর যদি ড্রাগ রেসিসটেন্ট হয়ে যায়, তবে অন্য কোনো থেরাপি ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে বিষয়টি শুরুর দিকেই নির্ধারণ করা জরুরি।

সাম্প্রতিক কয়েক বছরে দক্ষিণ এশিয়ায় ভূমিধসের প্রবণতা বেড়েছে

আইসিটি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্ক :
বিজ্ঞানীরা বলছেন বৃষ্টিপাতের ধরনে অস্বাভাবিক কিছু পরিবর্তন, ভূমিকম্পের তীব্রতা বৃদ্ধি এবং মানুষের অনিয়ন্ত্রিত কিছু কার্যকলাপ এর জন্য দায়ী।
বিজ্ঞানীরা এইসব ভূমিধসের যেসব কারণ চিহ্নিত করেছেন তার মধ্যে এলাকার ভূতাত্ত্বিক পরিস্থিতির পরিবর্তন এবং বৃষ্টিপাতের ধরন বদলে যাওয়াকে তারা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন।
তাঁরা বলছেন আকস্মিক বৃষ্টি, এবং যখন তখন অতিমাত্রায় বৃষ্টির ফলে পাহাড়ে মাটি এবং পাথরের সংযুক্ত থাকার ক্ষমতাও ক্রমশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে পাহাড়ি ঢালে মাটি ও পাথর এভাবে আলগা হয়ে যাওয়ার কারণে ভূমিধসের প্রবণতাও বেড়ে গেছে এবং ফলে ভূমিধসে প্রাণহানির ঘটনাও বেড়েছে।
ভূপৃষ্ঠের নিচে বিভিন্নধরনের তৎপরতা ও চাপ ক্রমশ বাড়তে থাকার কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় মাটির নিচে নানাধরনের ভূতাত্ত্বিক পরিবর্তন এসেছে বলে বিজ্ঞানীদের মত।
এশিয়ায় বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে সক্রিয় অনেকগুলো টেকটনিক প্লেট রয়েছে- ফলে সেখানে ভূগর্ভে নড়াচড়ার কারণে বিভিন্নরকম স্খলনের আশংকা তৈরি হবার সম্ভাবনাও রয়েছে বেশি।

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) আইট্রিপলই সম্মেলন


রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) আয়োজন হতে যাচ্ছে ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্সের ‘ফার্স্ট আইট্রিপলই বাংলাদেশ সেকশন স্টুডেন্ট/গোল্ড কংগ্রেস’। রুয়েট মিলনায়তনে ২০ সেপ্টেম্বর এ সম্মেলন শুরু হবে।

প্রযুক্তি সেমিনার, কর্মশালা ও গ্রুপভিত্তিক আলোচনার পাশাপাশি এতে থাকবে তথ্যপ্রযুক্তি কুইজ প্রতিযোগিতাসহ কম্পিউটার গেইম ও প্রকল্প প্রতিযোগিতাও। এ আয়োজনে অংশ নিতে ৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনলাইনে নাম নিবন্ধন করতে হবে। তিন দিনব্যাপী এ আয়োজনের নিবন্ধন ফি ছাত্র সদস্যের জন্য ৬০০ টাকা এবং গোল্ড সদস্যের জন্য ৮০০ টাকা। আগ্রহীরা www.ieeeruet.org/registration/ieee-bangladesh-section-student-congress/ ঠিকানা থেকে অনলাইনে নিবন্ধন করার সুযোগ পাবেন।

অবতরণের শেষ পর্যায়ে সোলার প্লেন


আইসিটি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্ক :

জুন মাসে স্পেনের মাদ্রিদ থেকে আফ্রিকার মরক্কোয় উড়ে গিয়ে পৃথিবীর ইতিহাসে আন্তমহাদেশীয় ফ্লাইট সম্পন্ন করা প্রথম সোলার প্লেন হিসেবে নাম লিখিয়ে নিয়েছিলো সোলার ইমপালস। তবে আদতে তা ছিলো ৬ হাজার কিলোমিটারের যাত্রার অংশ মাত্র।
মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের পেয়ার্নের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবে সোলার ইমপালস।
সেখানে পৌঁছালেই শেষ হবে প্লেনটির দীর্ঘ যাত্রা। খবর গিজম্যাগ-এর।
ফ্রান্সের টুলুস ফ্র্যাঙ্কাজাল এয়ারপোর্ট থেকে ভোর ৫টায় সুইজারল্যান্ডের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবে সোলার প্লেনটি।
টপকে যাবে আল্পস পর্বতমালা। মাটি থেকে প্রায় ১২০০০ ফিট উপর দিয়ে উড়ে যাবে প্লেনটি। আর সবকিছু পরিকল্পনা মেতাবেক হলে সুইজারল্যান্ডের পেয়ার্ন এয়ারফিল্ডে অবতরণ করবে সন্ধা ৬টার পর।
২৪ মে তারিখে সুইজারল্যান্ডের পেয়ার্ন এয়ারফিল্ড থেকেই আন্তমহাদেশীয় যাত্রা শুরু করেছিলো সোলার ইমপালস।
পুরো ৬ হাজার কিলোমিটারের যাত্রাপথকে ভাগ করা হয়েছিলো কম-বেশি ৮শ’ কিলোমিটারের ৮টি ভাগে। যাত্রাপথে ৪টি দেশে অবতরণ করেছিল সোলার ইমপালস।

Saturday, July 21, 2012

বিস্ময়কর শিশু


আইসিটি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্ক :
আইকিউ টেস্টে সর্বোচ্চ স্কোরধারী (স্কোর ২১০) বিস্ময় বালক কিম উং ইয়ং জন্মগ্রহণ করে ১৯৬২ সালে। জাপানিজ, চাইনিজ, স্প্যানিশ, ভিয়েতনামিজ, তেলেগু, কোরিয়ান, জার্মান ও ইংরেজি ভাষায় পারদর্শী ইয়ং মাত্র পাঁচ বছর বয়সে সমাধান করে ফেলতে পারত কঠিন কঠিন সব ডিফারেন্সিয়াল এবং ইন্ট্রিগাল ক্যালকুলাস। তিন বছর বয়স থেকে ছয় বছর বয়স পর্যন্ত সে ছিল হানইয়াং ইউনিভার্সিটির পদার্থবিজ্ঞানের অতিথি ছাত্র। মাত্র সাত বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রের নাসা থেকে আমন্ত্রণ পায় ইয়ং। বয়স ১৫ হওয়ার আগেই কলোরাডো স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে সে পদার্থবিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করে। ১৯৭৪ সালে ইউনিভার্সিটিতে পড়াকালীন সময়ে ইয়ং নাসাতে তার গবেষণার কাজ শুরু করে এবং কোরিয়ায় ফেরত যাওয়ার আগ পর্যন্ত এ গবেষণা চালিয়ে যায়। ১৯৭৮ সালে কোরিয়ায় ফিরে সে পুরকৌশল নিয়ে পড়াশোনা করার মনস্থির করে এবং সে ক্ষেত্রেও ইয়ং ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করে।
২.
১৯৯০ সালে জন্মগ্রহণ করা গ্রেগরি স্মিথ মাত্র দুই বছর বয়সে পড়তে শুরু করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া শুরু করে ১০ বছর বয়সে। জ্ঞান আহরণের জন্য নয় বরং শিশুদের অধিকার আদায়ের মিশন নিয়ে পুরো পৃথিবী ভ্রমণ শুরু করে স্মিথ। শুধু তাই নয়, ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ অ্যাডভোকেটস নামে একটি সংস্থা গড়ে তুলেছে সে। সারাবিশ্বে শিশু-কিশোরদের মধ্যে শান্তির মূলনীতি ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে কাজ করে এ সংস্থাটি। বিল ক্লিনটন এবং মিখাইল গর্বাচেভের সঙ্গে দেখা করে স্মিথ এবং ইউএনের সামনে তার বক্তব্যও উপস্থাপন করে। বিভিন্ন মানবিক এবং শান্তির পক্ষে কাজ করার জন্য চার চারবার নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয় স্মিথ।
৩.
এক বিলিয়নেরও বেশি লোক বসবাসকারী ভারতের বিস্ময় বালক অর্কিত জাসওয়ালকে বলা হয় বিশ্বের সবচেয়ে স্মার্ট বালক। আইকিউ টেস্টে তার স্কোর ১৪৬। মাত্র ১০ মাস বয়সে হাঁটতে এবং কথা বলতে শেখা অর্কিত পড়তে এবং লিখতে শেখে দুই বছর বয়সে। ইংরেজিতে শেক্সপিয়ারের রচনাবলি পড়তে শুরু করে যখন তার বয়স পাঁচ। অর্কিত সর্বপ্রথম নজরে আসে ২০০০ সালে যখন মাত্র সাত বছর বয়সে সে ডাক্তারি বিদ্যা প্রয়োগ করে। আট বছর বয়সী এক স্থানীয় মেয়ের হাত পুড়ে গেলে তার দুটি আঙুল একটার সঙ্গে একটা লেগে বেঁকে যায়। চিকিৎসার খরচ বহনে অক্ষম মেয়েটির পরিবার অর্কিতের কাছে গেলে সে সফলভাবে মেয়েটির আঙুলগুলোকে আলাদা করতে সফল হয় এবং পরবর্তীতে মেয়েটি সেই হাত দিয়ে কাজ করতে সক্ষম হয়। ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী ছাত্র অর্কিত বর্তমানে বিজ্ঞান বিষয়ে পড়ছে চন্ডীগড় কলেজে। ১২ বছর বয়সী অর্কিত তার এই বিস্ময়কর প্রতিভাকে কেন্দ্রীভূত করেছে চিকিৎসাবিজ্ঞানে এবং বলা হচ্ছে ক্যান্সারের প্রতিষেধক আবিষ্কারের খুব সনি্নকটে সে।
৪.
২০০২ সালের ৬ অক্টোবর মালোডাভায় জন্মগ্রহণকারী ক্লিওপেট্রা মালডোভিয়ান-রোমানিয়ান গায়ক পাভেল স্ট্রাটানের মেয়ে। গায়ক বাবার মেয়ে গান অনুরাগী হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে মাত্র তিন বছর বয়সে কোনো জনপ্রিয় অ্যালবামের গায়িকা হওয়াটাই বিস্ময়কর। শুধু তাই নয়, বিশাল অডিয়েন্সের সামনে টানা দুই ঘণ্টা সরাসরি গান গেয়ে সবচেয়ে ছোট শিল্পী হিসেবে রেকর্ডও গড়েছে সে। বিশ্বের সবচেয়ে দামি এই শিশুশিল্পী তার প্রতিটা গানের জন্য পায় এক হাজার ইউরো। সবচেয়ে কম বয়সী শিশুশিল্পী হিসেবে এম টিভি অ্যাওয়ার্ড জেতার রেকর্ডটিও তার।
৫.
২০০৭ সালের ১৫ জুলাই মাত্র ১৪ বছর ১১ মাস ২০ দিন বয়সে ফেবিয়ানো কারুয়ানা দাবায় গ্র্যান্ডমাস্টার হয়ে জিতে নেয় বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী গ্র্যান্ডমাস্টারের খেতাবটি। ১৯৯২ সালের ৩০ জুলাই মিয়ামিতে জন্মগ্রহণ করে ফেবিয়ানো। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে স্কুল দাবা প্রতিযোগিতায় তার প্রতিভা প্রকাশ পায়। ১২ বছর বয়স পর্যন্ত ফেবিয়ানো যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যরাতরেই খেলত। মাঝে-মধ্যে ইউরোপ কিংবা দক্ষিণ আমেরিকা যেত প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে। ১৪ বছর বয়সে গ্র্যান্ডমাস্টার কেতাব পাওয়ার মাধ্যমে বিশ্বের দাবাড়ূদের মধ্যে অষ্টম এবং জুনিয়র দাবাড়ূদের মধ্যে প্রথম স্থানটি তার
অধিকারে চলে আসে। বর্তমানে সুইজারল্যান্ডে বসবাসকারী ফেবিয়ানো ইতালির পক্ষ হয়ে দাবা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
৬.
নিক্কা কালাসনিকোভা নামের একজন রাশিয়ান আলোকচিত্রী মেলবোর্নের ব্রুনসউইক স্ট্রিট গ্যালারির পরিচালক মার্ক জেমেইসনকে একজন চিত্রশিল্পীর কিছু ছবি দেখান। এলিটা আন্দ্রে নামের সেই চিত্রশিল্পীর আঁকা অ্যাবস্ট্রাক্ট ছবিগুলো পছন্দ হয় জেমেইসনের। তিনি ছবিগুলো নিয়ে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করেন। তবে আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, এ প্রদর্শনীর সব রকম প্রচার সম্পন্ন করার পর জেমেইসন জানতে পারেন এলিটা আন্দ্রে নামের এই শিল্পী নিক্কা কালাসনিকোভা এবং মাইকেল আন্দ্রে শিল্পী দম্পতির সন্তান। শুধু তাই নয়, এলিটার বয়স মাত্র ২২ মাস। সত্যটা জেনে কিছুটা বিব্রত হন জেমেইসন; কিন্তু প্রদর্শনী চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অটল থাকেন। অন্য বাচ্চাদের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্নরকম অঙ্কনশৈলীর কারণে এ ক্ষুদে শিল্পীর ছবি প্রদর্শিত হয় বিশ্বের বিখ্যাত আর্ট গ্যালারিতে।

রোবোট নিয়ে বিজ্ঞানীরা যেমন আশাবাদী তেমনি সংশয়


আইসিটি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্ক :
রোবোট নিয়ে বিজ্ঞানীরা যেমন আশাবাদী তেমনি সংশয়ও যেন তাদের পিছু পিছু থাকে। যান্ত্রিক এই মানব ব্যবস্থা মানুষের কল্যাণের জন্য সৃষ্টি করা হলেও মানুষের জন্য যে এরা ক্ষতিকর হবে না তা কিন্তু উড়িয়ে দেয়া যায় না। তবুুও চলছে গবেষণা। রোবোটের উন্নয়নে মানুষ এখনো যারপরনাই সক্রিয়। রোবোটের ইতিহাস বহু পুরনো। সেই ১২০৬ সালে বিজ্ঞানী আল জাজারি সরল ধরনের রোবোটের কথা উল্লেখ করেছিলেন। উদ্ভাবক লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি ১৪৯৫ সালে মেকানিক্যাল নাইট নামে এক ধরনের হিউমানয়েড রোবোটের কথা বলেছিলেন। এরপর নানাভাবে বিজ্ঞানীদের মাথায় রোবোটের চিন্তা এলেও ১৯২০ সালের দিকে বাস্তবিকভাবে রোবোট বানানোর কার্যক্রম শুরু হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই গবেষণা গতিশীল ভঙ্গিতে এগোতে থাকে। তবে ১৯৯০ সালের পর কম্পিউটার প্রযুক্তি এবং ন্যানো প্রযুক্তির বিশেষ উন্নতির পর রোবোটিক গবেষণায় যেন বিপ্লব সূচিত হয়েছে। রোবোটিকসের রয়েছে অনেক শাখা-প্রশাখা। কারণ বর্তমান সময় পর্যন্ত এসে এত বিশাল পর্যায়ের ডাটা রোবোটিকস গবেষণার সাথে জড়িয়ে রয়েছে যে সুনির্দিষ্ট পরিমাণের ডাটাতে মনোযোগী হয়ে গবেষণা না চালালে গবেষণা করাই কঠিন হয়ে পড়ে। রোবোটিকসের শাখাগুলোর মধ্যে রয়েছে_ অ্যান্থ্রোবটিকস, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, বিহেভিওর বেজড রোবোটিকস, বিম রোবোটিকস, বায়োনিকস, বায়োরোবোটিকস, কগনিটিভ রোবোটিকস, কম্পিউটার ভিশন, ম্যাশিন ভিশন, এপিজেনেটিক রোবোটিকস, ইভলিউশনারি রোবোটিকস, হোম অটোমেশন, হিউম্যান রোবোট ইন্টারেকশন, ইন্টেলিজেন্ট ভেহিকল টেকনোলজিস, ল্যাবরেটরি রোবোটিকস, মাইক্রোরোবোটিকস , ন্যানোরোবোটিকস , রোবোটিক সার্জারি, রোবোট কিনেমাটিকস, রোবোট লোকোমোশন, স্পিচ প্রসেসিং ইত্যাদি। রোবোট পরিচালনার জন্য এবং রোবোট সম্পর্কিত গবেষণা করার জন্য বেশকিছু রোবোটভিত্তিক সফটওয়্যার গবেষকরা উদ্ভাবন করেছেন। এ সফটওয়্যারগুলোর মধ্যে রয়েছে ড্রোস, ম্যারি, এমআরপিটি, রোবোরিয়ালম, উর্বি, উইবোটস, ইয়ারপ ইত্যাদি। রোবোটের মধ্যে হিউমানয়েড রোবোটের বিষয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহ একটু বেশি দেখা যায়। মানুষের আকার-আকৃতি, মানসিক বৈশিষ্ট্যসহ নানারকম বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করে এই রোবোটগুলো বানানো হয়ে থাকে। জাপান, আমেরিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়ার পাশাপাশি বর্তমানে ইরানও হিউমানয়েড রোবোট নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। সমপ্রতি ইরানের তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ গবেষকরা সুরেনা-২ নামে এক ধরনের হিউমানয়েড রোবোট উন্মোচন করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদের সামনে। জাপানের বিজ্ঞানীরা এই বছরই এমন এক ধরনের হিউমানয়েড রোবোট তৈরি করেছেন যে রোবোটগুলো গান গাইতে পারে এবং নাচতে পারে। তবে রোবোট গবেষণার সঙ্গে সঙ্গে ফিকশনাল ক্ষেত্রে রোবোটের যে ভয়াবহ রূপ দেখানো হয়েছে তা ভুলে গেলে চলবে না। টার্মিনেটর সিরিজে জেমস ক্যামেরন দেখিয়েছেন ভবিষ্যতে মেশিনের সঙ্গে কীভাবে মানুষের যুদ্ধ বাধে। ম্যাট্রিক্সে দেখানো হয়েছে কীভাবে অপারেটিং সিস্টেম মানুষকে দাস বানিয়ে ফেলে। আইজ্যাক আসিমভ, মুহম্মদ জাফর ইকবালসহ বিভিন্ন লেখকের লেখনীতে কি করে রোবোট মানুষের বিপক্ষে দাঁড়ায় তা উঠে আসে। রোবোটের নেগেটিভ বিষয়টি স্টিভেন স্পিলবার্গের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ছবিটিতে বেশ ভালোভাবেই এসেছে। সবকিছু মিলিয়ে বলা যায়, রোবোট গবেষণায় সাফল্যের পাশাপাশি রোবোটের ভবিষ্যৎ ভয়াবহতাও মাথায় রেখে মানুষকে কাজ করা উচিত। রোবটিক সিস্টেম এর ব্যবহার মাদ্রিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা স্যাটেলাইটের লোকেশন নির্ণয় এবং তথ্য ক্যাপচারিংয়ের ওপর নতুন অর্জন করেছেন। মাদ্রিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের অটোমেটেড সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের গবেষক মোহাম্মদ আবদেরাহিম ও তার সহকর্মীরা এ উদ্ভাবনের সঙ্গে জড়িত। এ গবেষণায় কম্পিউটারে যাবতীয় ডাটা চলে আসে। গবেষণার জন্য অন্যতম সহায়ক যন্ত্র হচ্ছে এক ধরনের স্পেস ভেহিকল। সেটির নাম হচ্ছে চেজার। এছাড়া আসিরভ নামে এক ধরনের যন্ত্র এ গবেষণার জন্য বিশেষ প্রয়োজনীয়। মহাকাশে থাকা কোনো স্যাটেলাইটে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা এবং স্যাটেলাইটের বার্তা যথাযথভাবে ক্যাপচার করার সুবিধা এ গবেষকরা প্রদান করছেন। পাশাপাশি তারা স্যাটেলাইটের অবস্থান নির্ণয়েও সক্ষম। মজার বিষয় হচ্ছে পুরো কাজটিই হচ্ছে এক ধরনের রোবটিক সিস্টেমের সহযোগিতায় যেটি আসিরভ যন্ত্র এবং স্পেস ভেহিকল চেজারের মাধ্যমে কাজ করে। পৃথিবীতে বসে বিজ্ঞানীরা পুরো ডাটা বা বিশেষ অ্যালগারিদম কম্পিউটারে ইনপুট করেন। সেই ইনপুট আসিরভ ও চেজারের মাধ্যমে মহাকাশে থাকা স্যাটেলাইটে প্রেরিত হয়। এ অ্যালগারিদমই মূলত স্যাটেলাইটের থেকে প্রেরিত ডাটা ক্যাপচার করা, স্যাটেলাইটের অবস্থান নির্ণয় করা এবং স্যাটেলাইটে প্রয়োজনীয় বেশকিছু পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। 


গবেষণাটি স্পেনে বেশ বড় পরিসরে হচ্ছে। সেনার নামক একটি স্প্যানিশ কোম্পানি গবেষণার প্রয়োজনে যাবতীয় সহযোগিতা করছে। সেনারের অন্যতম প্রকৌশলী আন্দ্রে গেসভ এক সাক্ষাৎকারে জানান, স্যাটেলাইট গবেষণার ক্ষেত্রে রোবোটিক সিস্টেমের সহযোগিতায় করা এ উদ্ভাবন বিশেষ মাইলফলক হয়ে থাকবে। ভবিষ্যতের ব্রডকাস্টিং সিস্টেমের জন্য এ ধরনের পদ্ধতিই বেশিমাত্রায় কাজে আসবে। তাই আমরা সেনারের পক্ষ থেকে এ গবেষণায় সহযোগিতা করে যাব। উল্লেখ্য, স্যাটেলাইট নিয়ে এখন বিশ্বব্যাপী বিজ্ঞানীরা প্রচুর গবেষণা করে যাচ্ছেন। পৃথিবীতে স্যাটেলাইট টেলিভিশনসহ নানারকম স্যাটেলাইটভিত্তিক কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করতে এ গবেষণাগুলো বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সায়েন্স ফিকশন লেখক ও বিজ্ঞানী আর্থার সি ক্লার্কের মাধ্যমে যে স্যাটেলাইট বিজ্ঞানের সূত্রপাত তা মানুষকে নানা ধরনের সুবিধা দিচ্ছে। তাই মানুষ স্যাটেলাইটের গুরুত্ব অনুভব করে এ সংক্রান্ত গবেষণা অব্যাহত রেখেছে। গত কয়েক বছরে স্যাটেলাইট গবেষণায় রোবটিক সিস্টেমেরই শুধু আবির্ভাব ঘটেনি। মানুষ ন্যানোস্যাটেলাইট মহাকাশে প্রেরণ করেছে। ন্যানো পর্যায়ের এসব স্যাটেলাইট নতুন নতুন নানা কৌশল বাস্তবায়নে তো কাজে লাগানো যাচ্ছেই পাশাপাশি স্যাটেলাইট গবেষণাকে দিয়েছে ভিন্নতর মাত্রা। এছাড়াও মহাকাশযান চিকিৎসাসহ নানা ধরনের জটিল বিষয়ে মানুষকে রোবোটিক সিস্টেম বা রোবোট সাহায্য করছে।

অ্যাপল ওয়েবসাইটে ঝুলবে স্যামসাং প্রচারণা


আইসিটি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্ক :
স্যামসাংয়ের পক্ষে প্রচারণা চালাবে অ্যাপল! অ্যাপল বনাম স্যামসাংয়ের পেটেন্ট লড়াই নতুন দিকে মোড় নেয়ায় এমন ঘটনাই এবার ঘটতে পারে। আইপ্যাডের ডিজাইন নকল করে স্যামসাং তাদের গ্যালাক্সি ট্যাবলেট ডিভাইস বানিয়েছে দাবি করে বৃটেনের আদালতে মামলা করেছিলো অ্যাপল। কিন্তু আদালতে সে দাবি প্রমাণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় স্যামসাং আইপ্যাডের ডিজাইন নকল করেনি-এমন প্রচারণা চালানোর নির্দেশই অ্যাপলকে দিয়েছে আদালত। খবর বিবিসির।

মামলার রায় অনুযায়ী ‘স্যামসাং আইপ্যাডের ডিজাইন নকল করেনি’-এমন একটি নোটিশ আগামী ছয় মাস থাকতে হবে অ্যাপলের নিজস্ব ওয়েবসাইটে। শুধু তাই নয়, খবরের কাগজ ও ম্যাগাজিনের মতো অন্যান্য প্রচারমাধ্যমেও এ সম্পর্কিত বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য অ্যাপলকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অ্যাপলের মামলায় স্যামসাংয়ের সুনাম যে ক্ষতির মুখে পড়েছে সেটি পুরণ করতেই বৃটিশ আদালত ওই আদেশ দিয়েছে।

তবে এ বিষয়ে এখনও মন্তব্য করা থেকে বিরত রয়েছে অ্যাপল কর্তৃপক্ষ।

অবশ্য এ রায়ের পর ডিজাইন নকল করার দাবি অ্যাপল যেন আর করতে না পারে, সেজন্য নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন জানায় স্যামসাং। স্যামসাংয়ের এ দাবি নাকচ করে আদালত জানায়, আদালত ‘ভুল’ রায় দিয়েছে এমন মতামত অ্যাপল কর্তৃপক্ষের থাকতেই পারে।

গতকাল সারা দিনই শোকাহত ছিল ভার্চুয়াল-জগৎ


আইসিটি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্ক :
অনলাইনে বাংলা ব্লগসাইটগুলোতে গতকাল শুক্রবার অনেক ব্লগার লিখেছেন, ‘আজ সবার মন খারাপ।’ বৃহস্পতিবার রাতে জনপ্রিয় লেখক, সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুসংবাদ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুক, টুইটারসহ বাংলা ব্লগগুলোতে।
দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসার নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে মারা গেছেন জনপ্রিয় হিমু, মিসির আলী চরিত্রের স্রষ্টা এই লেখক। ১৯৪৮ সালে নেত্রকোনা জেলায় জন্ম নেওয়া এই লেখকের মৃত্যুর খবরে শোকাহত হয়ে ওঠে ভার্চুয়াল-জগৎ। গতকাল সারা দিনই শোকাহত ছিল ভার্চুয়াল-জগৎ।
সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ফেসবুকের অনেকেই প্রিয় লেখকের মৃত্যুতে শোকাহত হয়ে নিজের প্রোফাইল ছবিতে কালো রিবন ব্যবহার করেছেন। অনেকে আবার হুমায়ূন আহমেদের ছবিকেই বানিয়েছেন নিজের প্রোফাইল ছবি। ফেসবুকের দেয়াল ভরে উঠেছে কালো ব্যানার, কাভারে। ব্যবহারকারীরা নিজেদের হালনাগাদে (স্ট্যাটাস) স্মরণ করেছেন জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা এ লেখককে। এ ছাড়া ফেসবুকে আছে হুমায়ূন আহমেদের নানা ছবি। খুদে ব্লগসাইট টুইটারেও অনেকেই ছড়িয়ে দিয়েছেন প্রিয় লেখকের মৃত্যুর খবর। যোগ করেছেন ছবিও।
বাংলা ব্লগসাইটগুলোতে এই নিয়ে রয়েছে বিশেষ নিবন্ধ। বিভিন্ন ব্লগে এই জনপ্রিয় লেখক, প্রযোজক, পরিচালকের জীবন-কর্ম নিয়ে রয়েছে একাধিক আলোচনা। বিশেষ বিষয়ের নিবন্ধগুলোকে রাখা হয়েছে বিশেষ সঞ্চালক নির্বাচিত অবস্থায়। প্রথম আলো ব্লগে (www.prothom-aloblog.com) ব্লগারদের বিশেষ লেখা সঞ্চালক নির্বাচিত রাখার পাশাপাশি ব্লগ সঞ্চালকের পক্ষ থেকে বিশেষ নির্বাচিত বক্সে শোকাহত পোস্ট রাখা হয়েছে। সামহোয়ার ইন ব্লগ (www.somewhereinblog.net), আমার ব্লগ (www.amarblog.com), আমরা বন্ধু (www.amrabondhu.com) ব্লগে, চতুর্মাত্রিক ব্লগে (www.choturmatrik.com) এ নিয়ে বিশেষ নিবন্ধ রয়েছে। সচলায়তন ব্লগে (www.sachalayatan.com) এ মহান লেখকের মৃত্যুতে বিশেষ ব্যানার যোগ করা হয়েছে। হুমায়ূন আহমেদের নানা তথ্য পাওয়া যাবে বাংলা উইকিপিডিয়ায় (http://goo.gl/j3fZC)।

আলসেমি ধূমপানের মতোই বিপজ্জনক


আইসিটি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্ক :
সম্প্রতি এক গবেষণার ফলাফলে বিজ্ঞানীদের একটি দল জানিয়েছেন, আলসেমি ধূমপানের মতোই বিপজ্জনক। পর্যাপ্ত শারীরিক শ্রম না দিলে দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত হবার আশঙ্কা বেড়ে যায়। এ কারণে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর মারা যাচ্ছেন ৫৩ লাখেরও বেশি মানুষ। খবর সাইন্স ডেইলির।

এই গবেষণাটির জন্য একত্রিত হয়েছিলেন পুরো পৃথিবীর ৩৩ জন বিজ্ঞানী। আলস্যের কারণে সৃষ্ট বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা পৃথিবীব্যাপী এতোটাই প্রকট আকার ধারণ করেছে যে, এ অবস্থা পরিবর্তনে বিভিন্ন দেশের সরকারের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করছেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই সমস্যা সমাধানে প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের প্রতি সপ্তাহে কম করে হলেও ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট শারীরিক শ্রম বা ব্যায়াম করা উচিত। এ ব্যাপারে বিজ্ঞানীদের দলটির অন্যতম সদস্য পেড্রো হাল্লাল বলেন, ‘যদিও আসন্ন অলিম্পিক গেইমস ২০১২-এই চোখ থাকবে পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষের, তাদের সিংহভাগই সময় কাটাবেন নিস্ক্রিয়ভাবে কোনো শারীরিক শ্রম না দিয়ে। আলস্য আর শারীরিক নিস্ক্রিয়তার কারণে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যঝুঁকি এতোই বেড়ে গেছে যে, সাধারণ জনগণের অকাল মৃত্যু ঠেকাতে তাদের শারীরিক শ্রম এবং ব্যায়ামে উদ্বুদ্ধ করা খুবই জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণায় আবিষ্কার করেন, শারীরিক নিষ্ক্রিয়তার কারণে রোগে আক্রান্ত হয়ে পৃথিবীব্যাপী মৃত্যুর সংখ্যা ধূমপানের কারণে মৃত্যুর সমান। কিন্তু পৃথিবীতে ধূমপায়ীদের তুলনায় শারীরিকভাবে নিস্ক্রিয় ব্যক্তিদের সংখ্যা বেশি।

গণিত অলিম্পিয়াডে প্রথমবারের মতো রৌপ্য পদক পেলো বাংলাদেশ


আইসিটি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্ক :
৫৩তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে (আইএইমও) প্রথমবারের মতো রৌপ্য পদক পেয়েছে বাংলাদেশের ধনঞ্জয় বিশ্বাস। একইসাথে ২টি ব্রোঞ্জ এবং ২টি অনারেবল মেনশন লাভ করেছে বাংলাদেশের ক্ষুদে গণিত দল। এদের মধ্যে ১৫ পয়েন্ট পেয়ে ব্রোঞ্জ জিতেছে সৌরভ দাশ ও নূর মোহাম্মদ শফিউল্লাহ। এছাড়াও ১১ পয়েন্ট পেয়ে মির্জা মো, তানজিম শরিফ মুগ্ধ এবং ৮ পয়েন্ট পেয়ে আদিব হাসান অনারেবল মেনশন লাভ করেছেন।
আর্জেন্টিনার মার ডেল প্লাটা শহরে অনুষ্ঠেয় অলিম্পিয়াডে অংশ নিয়ে রোববার বাংলাদেশের পক্ষে ২৫ নম্বর পেয়ে প্রথম রুপার পদক পেল ধনঞ্জয় বিশ্বাস। এটি ছিল তার দ্বিতীয় গণিত অলিম্পিয়াড সফর। গত বছর নেদারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ৫২তম আইএমওতে ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করে বড় হয়ে গণিত ও পদার্থ নিয়ে পড়তে ইচ্ছুক ধনঞ্জয়।
চট্টগ্রাম কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়া ধনঞ্জয়ের বাবা মিলন কান্তি বিশ্বাস একজন ব্যবসায়ী এবং মা স্বাস্থ্যসহকারী স্বপ্না রানী দে। তারা দুজনেই ছেলের এই সাফল্যে দেশবাসীর আশীর্বাদ কামোনা করেছেন। দুই ভাইয়ের মধ্যে ধনঞ্জয় বড়।
গণিত অলিম্পিয়াডে অংশ নেয়া অপর কৃতী ক্ষুদে গণিতবিদরা হলেন ঢাকা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সৌরভ দাশ, নূর মোহাম্মদ শফিউল্লাহ ও আদিব হাসান।
প্রসঙ্গত, ১৯৫৯ সাল থেকে আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াড আয়োজন শুরু হয়। আর ২০০৪ সালে গ্রিসে অনুষ্ঠিত ৪৫তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে যোগ দেন বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান । বাংলাদেশ সেখানেই আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের পূর্ণ সদস্যপদ লাভ করে। ২০০৫ সালে মেক্সিকোয় অনুষ্ঠিত ৪৬তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে প্রথম অংশ নেয়। সেই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের এবার অষ্টমবারের মতো প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
উল্লেখ্য, আইএমওতে বাংলাদেশের শিশুকাল কাটলেও এরই মধ্যে আমাদের অর্জন খুব একটা খারাপ নয়। ২০০৯ সালে জার্মানির ব্রিমেনে আইএমওর সুবর্ণজয়ন্তীর ৫০তম আয়োজনে সামিন রিয়াসাত ও নাজিয়া চৌধুরী প্রথমবারের মতো অর্জন করে দুটি ব্রোঞ্জ পদক, ২০১০ সালে কাজাখস্তানের আস্তানায় অনুষ্ঠিত ৫১তম আইএমওতে তারিক আদনান এবং ২০১১ সালে নেদারল্যান্ডের আমস্টারডামে ৫২তম আইএমওতে ধনঞ্জয় বিশ্বাস ব্রোঞ্জ পদক পায়। গত ছয় বছরে চারটি ব্রোঞ্জ পদক এবং ১৩টি ‘অনারেবল ম্যানশন’ অর্জন করেছে বাংলাদেশের খুদে গণিতবিদেরা।

আইফোনের পরবর্তী মডেলে অ্যাপল ব্যবহার করবে ইন-সেল প্রযুক্তি


আইসিটি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্ক :
আইফোনের পরবর্তী মডেলের স্ক্রিনটি আরো পাতলা করতে অ্যাপল ব্যবহার করবে ইন-সেল প্রযুক্তি। এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে আইফোন ফাইভের স্ক্রিন তৈরিতে একাধিক কোম্পানি কাজ করছে বলে জানিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
একাধিক গোপন সূত্রের বরাত দিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জানিয়েছে, বর্তমানে আইফোন ফাইভের স্ক্রিন তৈরিতে কাজ করছে তিনটি কোম্পানি- শার্প, এলজি এবং জাপান ডিসপ্লে। আর আইফোন ফাইভ নিয়ে গুজবগুলোর একটি হচ্ছে আইফোন ফোর-এর ৪ ইঞ্চি স্ক্রিনের তুলনায় বড় হবে আইফোন ফাইভের স্ক্রিন।
ইন-সেল টেকনোলজিতে এলসিডি স্ক্রিনের মধ্যেই টাচ স্ক্রিনের সেন্সর বসানো থাকবে, ফলে নতুন আইফোনের স্ক্রিনটি হবে আরো পাতলা।
তবে আইফোন ফাইভ নিয়ে এরকম গুজব নতুন নয়। নতুন আইফোনের স্ক্রিন আরো বড় হবে কিনা বা আরো পাতলা হবে কিনা, এ ব্যাপারগুলো বরাবরের মতো এখনও গোপন রেখেছে অ্যাপল কর্তৃপক্ষ।

অপরাধ নির্মূলের পরিকল্পনায় গুগল


আইসিটি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্ক :
সারা বিশ্বে মাদক ও অর্থ চোরাচালান, মানবপাচারসহ অন্যান্য অপরাধ কমাতে প্রযুক্তি তৈরি ও তা ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে গুগল। গুগল সার্চকে কাজে লাগিয়ে অপরাধ নির্মূলের পরিকল্পনায় গুগলের সঙ্গে রয়েছে কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনস (সিএফআর) নামের একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে ফক্স নিউজ।
কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনস (সিএফআর) বিষয়ে সংস্থাটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, সংস্থাটি স্বাধীন, নির্দলীয়, তথ্য-গবেষণা ও প্রকাশনা বিষয়ক একটি সংস্থা। ব্রায়ান উইলিয়াম, ফরিদ জাকারিয়া, অ্যাঞ্জেলিনা জোলি, চাক হ্যাগেল, এরিন বার্নেটের মত ব্যক্তিরা এ সংস্থার সদস্য।
গুগলের পরিকল্পনাবিদ ও সিএফআর কর্মকর্তারা ১৭ ও ১৮ জুলাই ক্যালিফোর্নিয়ার অপরাধ নির্মূলের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছেন।
গুগল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অপরাধীরা অনলাইনে তঁাদের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে। গুগলের পরিকল্পনাবিদরা সিএফআর সংস্থার সঙ্গে একজোট হয়ে এ ধরনের অপরাধ নির্মূলে প্রযুক্তি ব্যবহারের পরিকল্পনা করছেন।
জাতিসংঘের বিশেষ উপদষ্টো ও ভারতের শিশু পাচার প্রতিরোধ বিষয়ক কর্মকর্তা রানি হং জানিয়েছেন, `অপরাধ নির্মূলে কাজ করার জন্য গুগল বর্তমানে গুরুদায়িত্ব নিতে পারে। কারণ- গুগলের রয়েছে শক্তিশালী যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং সমস্যা সমাধানের সামর্থয।’
ক্যালিফোর্নিয়ায় আয়োজিত গুগলের এ সম্মেলনে ভারতের রানি হং ছাড়াও অংশ নিচ্ছেন লাইবেরিয়া থেকে কিমি উইকস, কলাম্বিয়া থেকে জুয়ান পাবলো এসকাবর, যুক্তরাষ্ট্রের অ্যান্ড্রু ওয়েবার ও ব্রায়ান ডড। এ সম্মেলনে মোট ১২ জনেরও বেশি কর্মকর্তা অংশ নিচ্ছেন।
সিএফআর কর্মকর্তা স্টুয়ার্ট প্যাট্রিক জানিয়েছেন, গুগলের ব্যবসার সঙ্গে অপরাধ নির্মূলের বিষয়টি না মিলতেও পারে। কিন্তু প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে শিশু পাচার, ড্রাগ ও অর্থ চোরা চালান-কারী-সহ অপরাধ সংক্রান্ত কাজে লাগতে পারে এমন অনেক প্রযুক্তি রয়েছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে এবং এ ধরনের কাজে যারা নিয়োজিত তাদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসতে পারে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো।’
যুক্তরাষ্ট্রের পোমোনা কলেজের নৃতত্ত্বের সহকারী অধ্যাপক পারদিস মাধবী এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, আমরা জানি অপরাধীরাও ইন্টারনেট ব্যবহার করে। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে- ইন্টারনেটই অপরাধ কমাতে পারে ও অপরাধ নির্মূলে যারা কাজ করছে তাদের সাহায্য করতে পারে।’

বাংলায় কুরআন পড়ার নতুন যন্ত্র


আইসিটি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্ক :

 আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে কুরআন পড়ার করার যন্ত্র তৈরি হয়েছে আগেই। এবার ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলিমদের সুবিধার জন্য বাংলাসহ কয়েকটি ভারতীয় ভাষায় কুরআনের অনুবাদ শোনার একটি চীনেবানানো যন্ত্র বাজারজাত করেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একটি সংস্থা।

ওই যন্ত্রটিতে মূল কুরআনের সঙ্গেই যেমন অনুবাদ শোনা যাবে, তেমনভাবে কুরআনের ব্যাখ্যাও শুনতে পারবেন মুসলিমরা। চীনা প্রযুক্তিতে তৈরি ওই যন্ত্রটি রোববার কলকাতার বাজারে আনা হয়েছে।

যে ব্যবসায়ী এই যন্ত্রটি বাজারজাত করছেন, সেই আব্দুল আজিজ ফারুকি বলছেন, “যন্ত্রটি একটা মোটা কলমের মতো। এটি আসলে একটি সেন্সর।’’

‘ইকরা-ই-কুরআন নামের ব্যাটারিচালিত যন্ত্রটি চালু করার পরে বিশেষভাবে তৈরি একটি বুকমার্ক থেকে ভাষা আর কোন ইমামের গলায় কোরান শুনতে চান, সেখানে সেন্সর পেনটি ছুঁইয়ে দিন আর তারপরে বেছে নিন বিশেষভাবে ছাপা পবিত্র কোরানের যে কোনও একটি পাতা বা আয়াত। তারপরেই যন্ত্র নিজে থেকেই মূল আয়াত আর আপনার বেছে নেওয়া ভাষায় আয়াতটির বা গোটা পাতার অনুবাদ শুনিয়ে দেবে।’’

যন্ত্রটির সঙ্গে বিশেষভাবে ছাপানো একটা কুরআন যেমন রয়েছে, তেমনই থাকছে রেকর্ড করা তফ্সির বা ব্যাখ্যা। সেখানেও আপনি ভাষা আর পছন্দসই পাঠকের কন্ঠ বেছে করে নিতে পারবেন। হজ করতে গিয়ে আরবি না জানা থাকায় অসুবিধায় পড়তে হয় উপমহাদেশের অনেক মুসলিমকে।

তাদের সুবিধার জন্য ফারুকি একটি ট্র্যাভেল ডিকশনারিও তৈরি করেছেন যেটি ওই সেন্সর যন্ত্র দিয়েই ব্যবহার করা যাবে।

কুরআন পড়া বা তার ব্যাখ্যা করা যাদের কাজ সেই আলেমদের কাজটা যদি যন্ত্রই করে দেয় তাহলে কি তাদের সঙ্গে যন্ত্রটার সরাসরি বিরোধ বাঁধবে না?

ফারুকি বলেন, “ইমামদের সঙ্গে এই যন্ত্রের কোনও বিরোধ নেই। বরং ইমামদের কাজ অনেকটা সহজ করে দেবে আর বেশি সংখ্যায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানের কাছে পবিত্র কোরানের বাণী পৌঁছে দেবে এই যন্ত্র।’’

তিনি জানান, চীনের একটি কারখানায় প্রতি মাসে ৫০,০০০ যন্ত্র তৈরি করা যাবে যেগুলো বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানে বিক্রি করা যাবে।

তবে সাধারণ মুসলমানরা প্রায় ৪৫০০ ভারতীয় টাকায় এই যন্ত্র কতটা কিনতে পারবেন, সেটা বুঝতে আরও সময় লাগবে। সূত্র: বিবিসি।

অলিম্পিক স্মারকমুদ্রার নকশাকার ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত বাংলাদেশি তরুণ সায়মান মিয়া


আইসিটি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্ক :

শহর লন্ডনে তৃতীয়বারের মতো অলিম্পিক আয়োজন। আর এমন আয়োজনে শরিক হওয়ার কোনো স্মারক চিহ্ন কে না রাখতে চাইবে! তাই লন্ডন অলিম্পিক ও প্যারা-অলিম্পিক নিয়ে আলাদা পাঁচ পাউন্ড সমমানের স্মারকমুদ্রা বের করার প্রস্তুতি নেয় ব্রিটিশ মুদ্রা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান দ্য রয়েল মিন্ট। অলিম্পিকের স্মারক মুদ্রার নকশার জন্য যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আর্ট অ্যান্ড ডিজাইনের শিক্ষার্থীদের উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছিল প্রতিযোগিতাটি। বিজয়ী হয়ে ব্যাপক আলোচিত হন ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত বাংলাদেশি তরুণ সায়মান মিয়া। কয়েক হাজার নকশার মধ্য থেকে নির্বাচিত হয় তাঁর নকশাটি। সায়মান বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষার্থী। তাঁর নকশা করা অলিম্পিক ২০১২ সালের স্মারকমুদ্রাটি এরই মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে পৃথিবীজুড়ে।
অলিম্পিক ইতিহাসের অংশ হওয়া সায়মান বলছিলেন, ‘স্থাপত্যশৈলী নিয়ে পড়াশোনা করছি, ড্রয়িং বরাবরই পছন্দের। স্কুলের একজন শিক্ষক প্রতিযোগিতাটি সম্পর্কে জানিয়ে অংশ নিতে বললেন। তার পরও বিষয়টি আমার মাথায়ই ছিল না। এক মাঝরাতে হুট করে আমার ঘুম ভেঙে গেলে নকশাটি আমার মাথায় আসে। দেরি না করে পেনসিল দিয়ে একটু সাজিয়ে রেখেছিলাম। আবার ভুলে বসি। ভাগ্যিস, শেষতক জমা দিতে পেরেছিলাম।
মুদ্রার নকশা নিয়ে আমার ভাবনায় প্রাধান্য ছিল ব্রিটিশ স্থাপত্যের সঙ্গে ক্রীড়ার নিবিড় সমন্বয় ঘটানো। মুদ্রার নকশায় স্থান পেয়েছে ব্রিটেনের নান্দনিক স্থাপত্যকর্ম বিগ বেন, লন্ডন আই, সেন্ট পল ক্যাথিড্রেল ইত্যাদি। এদিকে নকশা জমা দেওয়ার পর আর কোনো খবর নেই, আর এমনটা হবে, সে তো জানাই ছিল। প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছি ঘরের মানুষ ছাড়া কাউকে বলিওনি। এরপর আসে চমক। দ্য রয়েল মিন্টের কর্মকর্তা কেভিন ফোন করে বলেন, আমার আঁকা নকশায় তৈরি হবে লন্ডন অলিম্পিকের স্মারকমুদ্রা!’
১৯৫৫ সালে ব্রিটেনে আসেন সায়মানের বাবা আরজু মিয়া। চার ভাইবোনের পরিবারে গর্বিত মা পিয়ারা খাতুন সায়মানের সাফল্যে প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘পূর্বপুরুষের মাটির গল্প শুনেই তারা বড় হয়েছে। আমার সন্তানের এই স্বীকৃতি বাংলাদেশিদের মুখ উজ্জ্বল করবে বলে জানি; আমি খুবই খুশি।’
১০ বছর বয়সে শেষবার বাংলাদেশে গিয়ে থাকলেও ভাটা পড়েনি দেশের প্রতি টান। বাংলাদেশ প্রসঙ্গে আত্মবিশ্বাসী হয়ে সায়মান জানান, ‘সুযোগ পেলে দেশে গিয়ে কাজ করার প্রচণ্ড ইচ্ছা আছে আমার।’

৩২ হাজারে ইপিসি


আইসিটি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্ক : 

আসুসের ইপিসি ‘১২২৫বি’ মডেলের নতুন নেটবুক এখন দেশে পাওয়া যাচ্ছে। মূল পর্দা ১১.৬ ইঞ্চি। এ ব্র্যান্ডের বিপণনকারী সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

এ মডেলের নেটবুকে আছে ১.০ গিগাহার্টজ গতির এএমডি ডুয়্যালকোর প্রসেসর, ৫০০ জিবি হার্ডডিস্ক, ৪ জিবি ডিডিআর-৩ র‌্যাম, ওয়েবক্যাম, মেমোরি কার্ড রিডার, ১০/১০০ ল্যান, ৮০২.১১বি/জি/এন, এইচডি অডিও, ব্লুটুথ ৩.০, ২টি ৩.০ ইউএসবি পোর্ট, ১টি ২.০ ইউএসবি পোর্ট, ভিজিএ এবং এইচডিএমআই ইন্টারফেস।

ওজন ১.৪৪ কেজি মাত্র। এ মুহূর্তে দাম ৩২ হাজার