Wednesday, February 22, 2012

বাংলা সফটওয়্যার নির্মাণে এগিয়ে এসেছেন তথ্যপ্রযুক্তিবিদরা

সময়ের সাথে সাথে এগিয়েছে কম্পিউটারের বহুমাত্রিক ব্যবহার।এই ব্যবহারটা যদি হয় মাতৃভাষায় তাহলে সেটা অবশ্যই অসাধারণ। পৃথিাবীর প্রযুক্তিপ্রেমীরা আগ্রহী থাকেন নিজের ভাষায় প্রযুক্তি ব্যবহার করতে। আর ইন্টারনেটে নিজের ভাষা লেখা বা নিজের ভাষায় কোনো কিছু প্রকাশের সুবিধা তৈরির ক্ষেত্রে এগিয়ে আসেন অনেকেই। তারা তৈরি করেন ছোট ছোট কিছু প্রোগ্রাম, যা টুলস নামে পরিচিত। ইন্টারনেটে এখন বাংলা লেখার জন্য রয়েছে দারুণ কিছু প্রোগ্রাম। কম্পিউটারে বাংলা লেখার জন্য আগে বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করা হতো। সমস্যা ছিল এক কম্পিউটারে বাংলা লিখে অন্য কোনো কম্পিউটারে নিয়ে গেলে তা দেখা যেত না; যদি না কম্পিউটারে ওই নির্দিষ্ট সফটওয়্যারটি ইনস্টল করা থাকত। আন্তর্জাতিক সংকেতায়ন ব্যবস্থা ইউনিকোড ৩.০-এ বাংলা ভাষা যুক্ত করার পর ইউনিকোড সমর্থন করে এমন সব অপারেটিং সিস্টেম এবং সব সফটওয়্যারেই এখন বাংলা দেখা ও লেখা সহজ। এ সুবিধাটি কাজে লাগিয়ে তৈরি হয়েছে অনেক ইউনিকোডভিত্তিক প্রোগ্রাম, যা দিয়ে ইন্টারেনেটে সহজেই বাংলা লেখা ও পড়া যায়। বাংলা লেখার যে টুলসগুলো রয়েছে তার সাথে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত হতে শুরু করেছি। ইন্টারনেটে বাংলা লেখার সফটওয়্যার অভ্র। ওমিক্রন ল্যাবের তৈরি এ মুক্ত সফটওয়্যারের মাধ্যমে ইন্টারনেটে বাংলা লেখা যায় নানা কি-বোর্ড লে-আউট ব্যবহার করে। ইউনিকোড সমর্থিত অভ্র কি-বোর্ডে রয়েছে অভ্র ফোনেটিক, অভ্র ইজি, বর্ণনা, ন্যাশনাল (জাতীয়) ও মুনির, প্রভাত কি-বোর্ড লে-আউট। এর মধ্যে যেকোনো একটি ব্যবহার করে বাংলা লেখা যায়। রয়েছে এর বহনযোগ্য সংস্করণ (পোর্টেবল অ্যাডিশন)। এছাড়া প্রয়োজন অনুযায়ী নিজের পছন্দের লে-আউটও বানানোর সুবিধা আছে অভ্রতে। কি-বোর্ডে ঋ১২ বা নির্দিষ্ট নির্বাচিত কি-বোর্ড লে-আউট চেপে কি-বোর্ড বাংলা বা ইংরেজি করে নেয়া যায়। অভ্রতে আছে নতুন বানান পরীক্ষক। আরো উল্লেখ করার মতো বিষয় হচ্ছে এখন রূপান্তরের সুবিধাও পাওয়া যাচ্ছে। প্রচলিত বাংলা থেকে ইউনিকোড বাংলায় রূপান্তর করার প্রোগ্রামের (কনভার্টার) জনপ্রিয়তাও ইন্টারনেটে বেশ। প্রচলিত বাংলা লেখাকে ইউনিকোডে রূপান্তরের সুবিধা দিচ্ছে নহবিনঃড়ড়ষং.ংভ.হবঃ ওয়েবসাইট। এস এম মাহবুব মুর্শেদ এবং অরূপ কামালের তৈরি এ টুলসটিতে প্রভাত, অভ্র, বর্ণসফট লে-আউটে ইউনিকোডে লেখা যাবে। এছাড়া প্রচলিত বাংলায় বৈশাখী, বংশী, বর্ণসফট, ফোনেটিক লে-আউটে লিখেও ইউনিকোডে রূপান্তর করা যাবে। অর্থাৎ ইউনিকোড বক্সে লিখে সাধারণ প্রচলিত বাংলায় যেমন রূপান্তর করা যাবে, তেমনি সাধারণ প্রচলিত বাংলায় লিখে ইউনিকোডেও রূপান্তর করা যাবে। এছাড়া ইচ্ছা করলে এ কনভার্টার বক্সে লিখে সেটিকে ইন্টারনেটে ব্যবহার করা যাবে। এ ব্যাপারে এস এম মাহবুব মুর্শেদ জানান, ব্যক্তিগত প্রকল্প হিসেবে বাংলা সংখ্যা থেকে ভয়েসে রূপান্তর করার প্রোগ্রাম এবং একটা উইন্ডোজের জন্য প্রচলিত বাংলা থেকে ইউনিকোড বাংলা কনভার্টার বানানো হয়েছে। সাধারণ ব্যবহারকারীদের কাজে লাগবে এ ভাবনা থেকেই এটি তৈরি। বাংলা লেখার ক্ষেত্রটা এখন অনেক বেশি। বস্নগ কিংবা সামাজিক যোগাযোগ সাইটে বাংলা লেখার ক্ষেত্রটি সহজ হয়েছে বিভিন্ন টুলসের মাধ্যমে। এসব টুলসের পাশাপাশি রয়েছে নানা ধরনের ইউনিকোড ফন্টও। ২০০৫ সাল থেকে বিজয় ইউনিকোড ফন্ট চালু আছে। বস্নগ বা সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলোতে বাংলা লেখা সহজ করে দিচ্ছে বাংলা ডট ওআরজি ডট বিডি (িি.িনধহমষধ.ড়ৎম.নফ)। এ সাইটে অভ্র, প্রভাত, ইউনিজয়সহ পাঁচ ধরনের কি-বোর্ড লে-আউটে সরাসরি বাংলা লেখা যায়। লেখাটি কপি করে কাঙ্ক্ষিত জায়গায় পেস্ট করে দিলেই হয়। অনলাইনে সব সুবিধা আছে বলে কম্পিউটারে আলাদা করে সফটওয়্যার ইনস্টল করার প্রয়োজন নেই। রয়েছে বানান পরীক্ষার ব্যবস্থা। অনেকেই মোবাইল ফোন থেকে বাংলা লিখতে পারেন না বিল্ট-ইন সুবিধার অভাবে। আর এমন সব সুবিধা নিয়ে রয়েছে সাদা খাতা ফোনেটিক বাংলা কনভার্টার (িি.িংধফধশযধঃধ.নরহযড়ংঃবৎ.পড়স)। এর মাধ্যমে যেকোনো যন্ত্র থেকে বাংলা লেখা যাবে সফটওয়্যার না নামিয়েই। এ সাইটে রয়েছে ফোনেটিক কিম্যাপ লিংক, যার মাধ্যমে রোমান হরফে বাংলা লিখে মায়াবী বাংলায় রূপান্তর' বাটনে চাপলেই নিচের টেক্সটবক্সে ইউনিকোড বাংলায় রূপান্তর হয়ে যাবে। এ ছাড়া একুশে (িি.িবশঁংযবু.ড়ৎম) সাইটে রয়েছে বিভিন্ন ফন্ট এবং লে-আউট। বিশ্বসেরা সার্চ ইঞ্জিন গুগলেও রয়েছে বাংলা কি-বোর্ড লে-আউট। িি.িমড়ড়মষব.পড়স.নফ ঠিকানায় সার্চ বক্সের ডানপাশে থাকা কি-বোর্ডটি মাউসের মাধ্যমে ব্যবহার করা যাবে এবং লেখা যাবে বাংলায়। মুক্ত অপারেটিং সিস্টেম উবুন্টুর বাংলা সংস্করণ রয়েছে, তার সঙ্গে প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারগুলো বাংলায় ব্যবহারের জন্য স্থানীয়করণ করার কাজও হচ্ছে। আমাদের প্রিয় মাতৃভাষা বাংলাতেই আমরা কম্পিউটারের সব কাজ করতে পারব। এ প্রত্যাশা সবার মায়াবী কি-বোর্ড অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম-চালি স্মার্টফোনে বাংলা লেখার একটি সফটওয়্যার। অ্যান্ড্রয়েড ২.১ এবং এর পরবর্তী সব সংস্করণে এটি ব্যবহার করা যায়। তবে অ্যান্ড্রয়েড সেটটিতে যদি বাংলা সমর্থন না করে, তবে এটি দিয়ে বাংলা লেখা দেখা যাবে না। তাই ইনস্টল করার আগে নিশ্চিত হয়ে নেয়া যেতে পারে। বাংলা সমর্থন করে কিনা, সেটা পরীক্ষা করার সহজ পদ্ধতি হলো অ্যান্ড্রয়েড ওয়েব ব্রাউজার থেকে যঃঃঢ়://নহ.রিশরঢ়বফরধ.ড়ৎম ঠিকানা ব্যবহার করে বাংলা উইকিপিডিয়া খোলা। যদি পাতাটিতে বাংলা লেখাপড়া যায়, তবে সেটটি বাংলা সমর্থন করে। না হলে সেটে এ কি-বোর্ডটি ব্যবহার করা যাবে না। এ কি-বোর্ড দিয়ে বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষাতেই লেখা যায়। ডিফল্ট হিসেবে সব সময় ইংরেজি নির্ধারণ করা থাকে, বাংলা লেখার আগে কি-বোর্ড থেকে তাই বাংলা অপশনটি চালু করে নিতে হবে। এ অ্যাপলিকেশনটির প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো হলো, ফোনেটিক পদ্ধতিতে বাংলা লেখা যায়, ইংরেজি কি-বোর্ড রয়েছে, অতিরিক্ত হিসেবে বেশকিছু স্মাইলি এবং চিহ্ন ব্যবহার করার ব্যবস্থা রয়েছে। সম্প্রতি ফ্রি সংস্করণের পাশাপাশি মায়াবী কি-বোর্ডের একটি প্রিমিয়াম সংস্করণ প্রকাশ করা হয়েছে।
বাংলাদেশের কাছে টেলিট্রানজিট চায় ভারতের এয়ারটেল ও রিলায়েন্স এবার বাংলাদেশের ওপর দিয়ে টেলিট্রানজিট চায় ভারত। ভারতের বৃহৎ টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান এয়ারটেল এবং টাটা রিলায়েন্স এ ব্যাপারে প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন তথা বিটিআরসিকে। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠান দু’টির প্রতিনিধিরা ঢাকায় এসে তাদের বিস্তারিত পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন। ভারতের মূল ভূখন্ড থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন তাদের সাতটি রাজ্যের সঙ্গে টেলিযোগাযোগ সহজ করতে তারা বাংলাদেশের সহযোগিতা চায়। প্রতিনিধিরা জানান, বাংলাদেশের অপারেটরদের মাধ্যমেই কাজ করা হবে। সেভেন সিস্টার হিসেবে পরিচিত সাত রাজ্য আসাম, মেঘালয়, মিজোরাম, মনিপুর, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা এবং অরুণাচল প্রদেশে টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তা দূর করতেই বাংলাদেশের ভূখন্ডের মধ্য দিয়ে ফাইবার অপটিক ক্যাবলের সুবিধা পেতে চান তারা। এতে ওই ৭ রাজ্যের সঙ্গে টেলিযোগাযোগ ব্যয় কমে যাবে। বাংলাদেশ সম্মত হলে কলকাতা-মেহেরপুর থেকে ঢাকা হয়ে জাফলং দিয়ে আসামের মাধ্যমে যোগাযোগ লাইন হতে পারে। বিকল্প হিসেবে কলকাতা-মেহেরপুর থেকে ঢাকা-কুমিল্লা হয়ে আগরতলায় সংযোগ নেয়ার প্রস্তাবও রয়েছে। এয়ারটেল এবং রিলায়েন্সের এ প্রস্তাবে বাংলাদেশ তাৎক্ষণিক সম্মতি দেয়নি। তবে বিটিআরসি এ ব্যাপারে আগ্রহী বলে সূত্র জানিয়েছে। বাংলাদেশ রাজি হলে ৩/৪ মাসের মধ্যেই এ সংযোগ ঘটতে পারে। বাংলাদেশ এতে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে। ওই কোম্পানি দু’টির সঙ্গে পাকিস্তান, নেপাল এবং ভুটানের টেরিস্ট্রিয়াল লিঙ্ক চুক্তি রয়েছে। এয়ারটেল এবং রিলায়েন্সের চুক্তি করতে হলে তা করতে হবে বাংলাদেশের অপারেটরদের সঙ্গে। বিটিআরসি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

এবার ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গের অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং এর শিকার হলো

এবার ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাকারদের শিকার হলো। হ্যাকাররা জুকারবার্গের অ্যাকাউন্ট থেকে তার ব্যক্তিগত ১৪টি ছবি চুরি করে অনলাইনে পোস্ট করে দেয়। এই ছবিগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো জুকারবার্গ তার বান্ধবীর জন্য রান্না করছেন, মুরগী হাতে নিয়ে দাড়িয়ে আছেন, এবং প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সাথে সাক্ষাৎ করছেন। হ্যাকারদের মূল উদ্দেশ্য ছিল ফেসবুকের একটি নিরাপত্তা জনিত সমস্যা সম্পর্কে জুকারবার্গকে সচেতন করা এবং তা করতেই তারা এই পথ বেছে নিয়েছে। তারা জুকারবার্গের ১৪টি ছবি পোস্ট করে এবং শিরোনাম দেয়া হয় “ এবার ফেসবুকের ভুল ঠিক করার সময় এসেছে।” পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ফেসবুক বলে সমস্যাটি ধরতে পারার সাথে সাথে তারা সিস্টেম বন্ধ করে দেয় এবং এই নিরাপত্তা জনিত সমস্যার সমাধান করা হলেই তারা পুনরায় সিস্টেম চালু করবে। বর্তমানে ফেসবুক পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইট । সারা বিশ্বে ৮০ কোটি লোক ফেসবুক ব্যবহার করে থাকে। ফেসবুক, মার্ক জুকারবার্গ, সূত্রঃ বিবিসি http://www.bbc.co.uk/newsround/16083797

Sunday, February 12, 2012

আইনস্টাইনকে পূর্ণতা দিচ্ছেন রাবির গবেষক!!!

আইনস্টাইনকে পূর্ণতা দিচ্ছেন রাবির গবেষক!!! আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা তত্ত্ব ভুল নয়, অসম্পূর্ণ- এটি প্রমাণ করতে ও নতুন সমীকরণের মাধ্যমে আপেক্ষিকতা তত্ত্বকে সম্পূর্ণ করার স্বপ্ন নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) গতকাল শনিবার থেকে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সেমিনার। এই স্বপ্নের দুই মূল চরিত্র হলেন রাবির শিক্ষক অধ্যাপক ওসমান গনি ও অধ্যাপক মুসফিক আহমেদ। গতকাল সেমিনারের প্রথম দিনে 'স্পেশাল রিলেটিভিটি' (বিশেষ আপেক্ষিকতা) বিষয়ে মোট আটটি প্রবন্ধ উপস্থাপিত হয়েছে। আজ রবিবার উপস্থাপিত হবে আরো দুটি প্রবন্ধ। এই সেমিনারে দেশি-বিদেশি ১৫০ জন গবেষক অংশ নিয়েছেন। ফলিত পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ফারহানা বিনতে সুফীর উপস্থাপনায় ও রাবির উপাচার্য অধ্যাপক এম সোবহানের সভাপতিত্বে গতকাল সকাল ৯টা থেকে সেমিনারের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। অধিবেশনে বিশেষ আপেক্ষিকতা সম্পর্কে অধ্যাপক ওসমান গণি ও অধ্যাপক মুসফিক আহমেদ তাঁদের প্রায় দুই দশকের গবেষণালব্ধ ফলের ওপর চারটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয় দুপুর ২টায়। সেখানে এই দুই গবেষক আরো চারটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। আজ তাঁরা আরো দুটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন। সেমিনারে এই দুই গবেষক বলেন, বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের মতবাদ থেকে স্থান-সংকোচন, সময়ের বিস্তার, বস্তুর পরিবর্তন ইত্যাদি সংক্রান্ত কিছু সমীকরণ পাওয়া যায়। তাঁরা বলেন, আপেক্ষিকতা সূত্রে বিজ্ঞানী আইনস্টাইন গাণিতিক সূত্র প্রয়োগ করে শুধু একটি অবস্থাকেই দেখিয়েছেন। কিন্তু তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করে দুটি অবস্থানে দুটি সূত্র দেখাতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁরা বলেন, বিজ্ঞানী আইনস্টাইন ও বিজ্ঞানী লরেন্স শুধু বেগের ক্ষেত্রে যোগসূত্রটি দেখিয়েছেন। কিন্তু সময়, দৈর্ঘ্য, স্থান, ভর, ভরবেগ, শক্তি- এগুলোরও যে যোগসূত্র হয়, তা তাঁরা (ওসমান গণি তালুকদার ও মুসফিক আহমেদ) আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, বিজ্ঞানী আইনস্টাইন এসবের একটিরও গুণসূত্র দেননি। কিন্তু এগুলোরও যে গুণসূত্র হয়, তাও তাঁরা দেখাতে সক্ষম হয়েছেন। এ ছাড়া এসবের যে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন মান রয়েছে, তা বিজ্ঞানী আইনস্টাইন বলে যাননি। কিন্তু তাঁরা গবেষণা করে আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছেন যে এগুলোরও সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন মান রয়েছে। গবেষকরা বলেন, দীর্ঘ দুই দশক ধরে গবেষণা করে এ-সংক্রান্ত যে তিনটি সমীকরণ তাঁরা আবিষ্কার করেছেন, তা আপেক্ষিকতা বিষয়ে আইনস্টাইনের মতবাদের বিরোধিতা করে না, বরং আইনস্টাইনের মতবাদকে পূর্ণতা দেবে। তাঁদের আবিষ্কৃত এই সমীকরণগুলো কোয়ান্টাম মেকানিকসের সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে বলে তাঁরা উল্লেখ করেন। সেমিনার শেষে গবেষকরা বলেন, অধ্যাপক ওসমান গণি ও অধ্যাপক মুসফিক আহমেদ যদি তাঁদের দাবি প্রমাণ করতে পারেন, তবে বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। এই বিষয়ে আরো প্রচারের দরকার আছে বলে তাঁরা মনে করেন। তাঁরা আরো বলেন, এই বিষয়ে আরো সেমিনার করার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ যাঁরা এই বিষয়ে উচ্চতর গবেষণা করেন, তাঁদের অংশগ্রহণ এখানে কম। যাঁরা এসেছেন, তাঁরা সবাই এই বিষয়ের গবেষক নন বলে অংশ নেওয়া গবেষকরা মন্তব্য করেন। শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'সবচেয়ে বড় কথা হলো, তাঁরা (অধ্যাপক ওসমান গণি ও মুসফিক আহমেদ) যে সমীকরণই দেন না কেন, তা পুরো বিজ্ঞানজগতে গ্রহণীয় হতে হবে।' রাবির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক সালেহ হাসান নাকিব বলেন, 'সমীকরণ গুরুত্বপূর্ণ নয়, গুরুত্বপূর্ণ হলো সমীকরণগুলোকে ব্যবহারিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করা। তাঁরা যে চিন্তা করেছেন, তা প্রশংসার দাবি রাখে। তবে আমি মনে করি, তাঁদের চিন্তা-ভাবনা বা গবেষণা এখনো অপরিপক্ব।' একই বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আবদুল্লাহ শামস বিন তারিক কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমি যতটুকু দেখেছি, তাতে আমি সন্তুষ্ট না। আমার মনে হয় না তাঁদের গবেষণা খুব বেশি দূর এগোতে পারবে।