আইসিটি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্ক :
ওষুধ প্রতিরোধী বা ড্রাগ রেসিসটেন্ট এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা আফ্রিকায় বেড়েই চলেছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় গত এক দশকে সাব সাহারান আফ্রিকার বিভিন্ন প্রদেশের মানুষের শরীর অনেক বেশী ড্রাগ রেসিসটেন্ট হয়েছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। খবর বিবিসির।
মানুষের দেহের ভাইরাসকে ধ্বংস করার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করতে হয়। কিন্তু অ্যান্টিবায়োটিকের কোর্স সম্পন্ন না করা হলে এটি ভাইরাস ধ্বংস করতে তো পারেই না উল্টো ভাইরাসটি নিজেই অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। আর এ অবস্থাকেই বলা হয় ড্রাগ রেসিসটেন্স। ড্রাগ রেসিসটেন্ট শরীরে ভাইরাস আক্রমণও সহজ হয়।
প্রায় ২৬ হাজার মানুষকে পরীক্ষা করার পর উন্নয়নশীল দেশগুলোর মানুষের শরীর বেশি ড্রাগ রেসিসটেন্ট-এমন সিদ্ধান্তে এসেছে ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) এবং ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন (ইউসিএল)।
গবেষকরা বলেছেন, ড্রাগ রেসিসটেন্সের মাত্রা সবচেয়ে বেশি পূর্ব আফ্রিকায়। পশ্চিম আফ্রিকায় এর পরিমাণ শতকরা ১৪ ভাগ এবং পূর্ব আফ্রিকায় ২৯ ভাগ। আর তাই, এ অঞ্চলে এইচআইভি আক্রান্তের হারও বেশি।
ইউসিএল-এর গবেষক ড. রবীন্দ্র গুপ্ত বলেছেন, ‘ড্রাগ রেসিসটেন্সের মূল কারণ, সঠিকভাবে ওষুধ সেবন না করা। আমাদের গবেষণা অনুযায়ী, আমেরিকা এবং লন্ডনে ড্রাগ রেসিসটেন্সের পরিমাণ ১০ ভাগ। কিন্তু প্রতিনিয়ত ওষুধ পরিবর্তন এবং অনিয়মিত ওষুধ সেবনের কারণে এর পরিমাণ বেড়েই চলেছে।’
তবে ড. গুপ্ত জানান, ড্রাগ রেসিসটেন্স তেমন বড় সমস্যা নয়। কারো শরীর যদি ড্রাগ রেসিসটেন্ট হয়ে যায়, তবে অন্য কোনো থেরাপি ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে বিষয়টি শুরুর দিকেই নির্ধারণ করা জরুরি।
No comments:
Post a Comment