আইসিটি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্ক :
৫৩তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে (আইএইমও) প্রথমবারের মতো রৌপ্য পদক পেয়েছে বাংলাদেশের ধনঞ্জয় বিশ্বাস। একইসাথে ২টি ব্রোঞ্জ এবং ২টি অনারেবল মেনশন লাভ করেছে বাংলাদেশের ক্ষুদে গণিত দল। এদের মধ্যে ১৫ পয়েন্ট পেয়ে ব্রোঞ্জ জিতেছে সৌরভ দাশ ও নূর মোহাম্মদ শফিউল্লাহ। এছাড়াও ১১ পয়েন্ট পেয়ে মির্জা মো, তানজিম শরিফ মুগ্ধ এবং ৮ পয়েন্ট পেয়ে আদিব হাসান অনারেবল মেনশন লাভ করেছেন।
আর্জেন্টিনার মার ডেল প্লাটা শহরে অনুষ্ঠেয় অলিম্পিয়াডে অংশ নিয়ে রোববার বাংলাদেশের পক্ষে ২৫ নম্বর পেয়ে প্রথম রুপার পদক পেল ধনঞ্জয় বিশ্বাস। এটি ছিল তার দ্বিতীয় গণিত অলিম্পিয়াড সফর। গত বছর নেদারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ৫২তম আইএমওতে ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করে বড় হয়ে গণিত ও পদার্থ নিয়ে পড়তে ইচ্ছুক ধনঞ্জয়।
চট্টগ্রাম কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়া ধনঞ্জয়ের বাবা মিলন কান্তি বিশ্বাস একজন ব্যবসায়ী এবং মা স্বাস্থ্যসহকারী স্বপ্না রানী দে। তারা দুজনেই ছেলের এই সাফল্যে দেশবাসীর আশীর্বাদ কামোনা করেছেন। দুই ভাইয়ের মধ্যে ধনঞ্জয় বড়।
গণিত অলিম্পিয়াডে অংশ নেয়া অপর কৃতী ক্ষুদে গণিতবিদরা হলেন ঢাকা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সৌরভ দাশ, নূর মোহাম্মদ শফিউল্লাহ ও আদিব হাসান।
প্রসঙ্গত, ১৯৫৯ সাল থেকে আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াড আয়োজন শুরু হয়। আর ২০০৪ সালে গ্রিসে অনুষ্ঠিত ৪৫তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে যোগ দেন বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান । বাংলাদেশ সেখানেই আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের পূর্ণ সদস্যপদ লাভ করে। ২০০৫ সালে মেক্সিকোয় অনুষ্ঠিত ৪৬তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে প্রথম অংশ নেয়। সেই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের এবার অষ্টমবারের মতো প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
উল্লেখ্য, আইএমওতে বাংলাদেশের শিশুকাল কাটলেও এরই মধ্যে আমাদের অর্জন খুব একটা খারাপ নয়। ২০০৯ সালে জার্মানির ব্রিমেনে আইএমওর সুবর্ণজয়ন্তীর ৫০তম আয়োজনে সামিন রিয়াসাত ও নাজিয়া চৌধুরী প্রথমবারের মতো অর্জন করে দুটি ব্রোঞ্জ পদক, ২০১০ সালে কাজাখস্তানের আস্তানায় অনুষ্ঠিত ৫১তম আইএমওতে তারিক আদনান এবং ২০১১ সালে নেদারল্যান্ডের আমস্টারডামে ৫২তম আইএমওতে ধনঞ্জয় বিশ্বাস ব্রোঞ্জ পদক পায়। গত ছয় বছরে চারটি ব্রোঞ্জ পদক এবং ১৩টি ‘অনারেবল ম্যানশন’ অর্জন করেছে বাংলাদেশের খুদে গণিতবিদেরা।
No comments:
Post a Comment