দ্রুত গলছে আর্কটিক সাগরের বরফ
আর্কটিক সাগরে বরফের আয়তন দ্রুত কমছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে বরফ গলে যাওয়াই এর কারণ। তাছাড়া বিশাল বরফখণ্ডগুলো ছোট ছোট টুকরায় রূপান্তরিত হওয়ায় বরফ গলে যাওয়ার হার বাড়ছে বলে হুশিয়ারি করেছেন আমেরিকান বিজ্ঞানীরা।
আমেরিকার তুষার ও বরফ তথ্যকেন্দ্র দ্য ন্যাশনাল স্নো অ্যান্ড আইস ডাটা সেন্টার-এনএসআইডিসি জানিয়েছে, স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত ছবিতে দেখা গেছে, আশঙ্কাজনক হারে গলছে আর্কটিক সাগরের বরফ।
বিজ্ঞানীরা স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ছবি বিশ্লেষণ করে দেখেছেন গত ১৬ সেপ্টেম্বর এ বছরের মধ্যে একদিনে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ বরফ গলেছে। আর একই বছরে ১৯৭৯ সালের পর থেকে এবারই সবচেয়ে বেশি পরিমাণে বরফ গলেছে। এ বছরের ৪ সেপ্টেম্বর ও ১৬ আগস্টের বরফ গলার তথ্যও বিশেষভাবে বিশ্লেষণ করেছিলেন বিজ্ঞানীরা।
এনএসআইডিসির পরিচালক মার্ক সিরেজ এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা একটা অজানা বিপদের দিকে এগোচ্ছি। দ্রুত বরফ গলে যাওয়া তথা জলবায়ু পরিবর্তন ক্রমেই পৃথিবীকে অনিরাপদ করে তুলছে। যদি সত্যিই বড় বিপর্যয় নেমে আসে এর জন্য প্রস্তুতি কী হবে তা এখনই ভাবা উচিত।
এনএসআইডিসি জানায়, গত দুই সপ্তাহে আর্কটিক সাগরে কমপক্ষে পাঁচ লাখ ১৭ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকার বরফ গলে গেছে। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা বিজ্ঞানী ওয়াল্ট মেয়ার বলেন, এ ধরনের তথ্য অবশ্যই পৃথিবীবাসীর জন্য আতঙ্কের। আগামী ৩০ বছরের মধ্যে বরফ গলে এমন সীমায় পৌঁছাতে পারে, যা পৃথিবীর জন্য হতে পারে মারাত্মক বিপর্যয়।
বিজ্ঞানী জুলিয়েন স্ট্রেয়েভ বলেন, আর্কটিক সাগরের বর্তমান কঠিন বরফাচ্ছন্ন এলাকায় ২০ বছর পর একটি বড় জাহাজ নিয়ে ঢুকে পড়লেও হয়তো আপনার অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না।
অপরদিকে পরিবেশবাদী আন্তর্জাতিক সংগঠন গ্রিনপিসের পরিচালক কুমি নাইডু আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, ‘আগামী ৩০ বছরের মধ্যেই হয়তো মহাকাশ থেকে গ্রীষ্মে উত্তর মেরুতে কোনো বরফ চোখে পড়বে না। এমনটি হলে পৃথিবীতে বড় ধরনের বিপর্যয় সৃষ্টি হবে। অবশ্য এনএসআইডিসির আশঙ্কা, ২০৫০ সাল নাগাদ এমন বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। সূত্র: আলজাজিরা, রয়টার্স
আমেরিকার তুষার ও বরফ তথ্যকেন্দ্র দ্য ন্যাশনাল স্নো অ্যান্ড আইস ডাটা সেন্টার-এনএসআইডিসি জানিয়েছে, স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত ছবিতে দেখা গেছে, আশঙ্কাজনক হারে গলছে আর্কটিক সাগরের বরফ।
বিজ্ঞানীরা স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ছবি বিশ্লেষণ করে দেখেছেন গত ১৬ সেপ্টেম্বর এ বছরের মধ্যে একদিনে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ বরফ গলেছে। আর একই বছরে ১৯৭৯ সালের পর থেকে এবারই সবচেয়ে বেশি পরিমাণে বরফ গলেছে। এ বছরের ৪ সেপ্টেম্বর ও ১৬ আগস্টের বরফ গলার তথ্যও বিশেষভাবে বিশ্লেষণ করেছিলেন বিজ্ঞানীরা।
এনএসআইডিসির পরিচালক মার্ক সিরেজ এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা একটা অজানা বিপদের দিকে এগোচ্ছি। দ্রুত বরফ গলে যাওয়া তথা জলবায়ু পরিবর্তন ক্রমেই পৃথিবীকে অনিরাপদ করে তুলছে। যদি সত্যিই বড় বিপর্যয় নেমে আসে এর জন্য প্রস্তুতি কী হবে তা এখনই ভাবা উচিত।
এনএসআইডিসি জানায়, গত দুই সপ্তাহে আর্কটিক সাগরে কমপক্ষে পাঁচ লাখ ১৭ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকার বরফ গলে গেছে। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা বিজ্ঞানী ওয়াল্ট মেয়ার বলেন, এ ধরনের তথ্য অবশ্যই পৃথিবীবাসীর জন্য আতঙ্কের। আগামী ৩০ বছরের মধ্যে বরফ গলে এমন সীমায় পৌঁছাতে পারে, যা পৃথিবীর জন্য হতে পারে মারাত্মক বিপর্যয়।
বিজ্ঞানী জুলিয়েন স্ট্রেয়েভ বলেন, আর্কটিক সাগরের বর্তমান কঠিন বরফাচ্ছন্ন এলাকায় ২০ বছর পর একটি বড় জাহাজ নিয়ে ঢুকে পড়লেও হয়তো আপনার অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না।
অপরদিকে পরিবেশবাদী আন্তর্জাতিক সংগঠন গ্রিনপিসের পরিচালক কুমি নাইডু আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, ‘আগামী ৩০ বছরের মধ্যেই হয়তো মহাকাশ থেকে গ্রীষ্মে উত্তর মেরুতে কোনো বরফ চোখে পড়বে না। এমনটি হলে পৃথিবীতে বড় ধরনের বিপর্যয় সৃষ্টি হবে। অবশ্য এনএসআইডিসির আশঙ্কা, ২০৫০ সাল নাগাদ এমন বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। সূত্র: আলজাজিরা, রয়টার্স
No comments:
Post a Comment